দেশি টোটকায় কাজ না হলে ট্রাই করুন কোরিয়ান স্কিন-কেয়ার পদ্ধতি!
দেশি টোটকায় ত্বকের দেখভাল তো করেন। তবে বর্তমানে বিউটি কেয়ারে প্রবেশ করেছে কোরিয়ান পদ্ধতি। আমরা সকলেই জানি, মাত্র তিনটি উপায়ে মুখের ত্বকের পরিচর্চা করলে সুফল মেলে।
ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং। কিন্তু এই কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে রয়েছে আরও কিছু পদ্ধতি। মাত্র ১০টি ধাপে কোরিয়ান ত্বকের পরিচর্চার পদ্ধতিতে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল, কোমল, চকচকে, নমনীয় ও সুন্দর-সুস্থ ত্বক।
– প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখের-গলার ত্বক পরিস্কার করে নিতে হবে। বিশেষত ওয়েল-বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বকের মৃতকোষগুলিকে নির্মূল করতে হবে। শুধু মৃতকোষই নয়, দূষণের জেরে মুখের মধ্যে ধুলো-বালি, মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। ক্লিনজারের মাধ্যমে ত্বকের মধ্যে ভাল ব্যকটেরিয়াগুলি বজায় থাকে। ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় না।
– পরের ধাপে ফের একবার ক্লিনজার ব্যবহার করতে হলে। এবার যেটি ব্যবহার করবেন, সেটি হল ওয়াটার-বেসড ক্লিনজার। এর জেরে আগের ধাপে যে ওয়েল-বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে এই ক্লিনজিং পদ্ধতি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। এই পদ্ধতির ফলে ত্বক থেকে নোংরা, ঘাম দূর করে ত্বকের ছিদ্রগুলি সতেজ হয়ে যায়।
– চর্মবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩বার এক্সফোলিয়েট করা দরকার। ত্বকের গঠন যাতে আরও উন্নত হয়, তার জন্য এই পদ্ধতি সাহায্য করে।ত্বকের মৃতকোষ সরিয়ে দিয়ে ছিদ্রগুলির মুখ খুলে যায়। এর ফলে ত্বক আগের তুলনায় আরও বেশি তাজা হয়ে উঠে। স্ক্রাব বা রাসায়নিক তরল দিয়ে এক্সফোলিয়েট করা হয়।
আরও পড়ুন: শুষ্ক চুলের যত্নে মেয়োনিজ! হেয়ার মাস্ক হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন
– পরের ধাপে ব্যবহার করতে হবে পছন্দের ও ত্বক অনুযায়ী টোনার। ত্বকের মধ্যে পিএইচ লেভেলের সামঞ্চস্য বজায় রাখার জন্য এই টোনিং করা খুবই প্রয়োজন।
– সাধারণত, ওয়াটার বেসড আমাগ্লাম সিরাম বা টোনার ব্যবহার করলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। এসেন্স সিরাম ব্যবহারের ফলে ত্বক আগের তুলনায় উজ্জ্বল ও কোমল হয়ে ওঠে। ত্বকের মধ্যে কালো ছোপ, ব্রণের প্রবণতাও কমে যায় এই পদ্ধতিতে।
– ত্বককে হাইড্রেট রাখার জন্য সিরাম অত্যন্ত উপকারী। রিঙ্কেলস, বলিরেখা, ত্বকের উপর বার্ধক্যের ছাপ, শুষ্কতা ও হাইপার-পিগমেনটেশন হঠাতে সিরাম বেশ কার্যকরী।
– শিট-মাস্ক হল কোরিয়ার জনপ্রিয় পণ্য, যা ত্বককে আরাম দিতে ব্যবহার করা হয়। মুখের মাপের মাস্ক, যাতে সিরাম, হাইড্রেটিং এসেন্স ভরপুর থাকে। যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্য এই শিট মাস্ক দারুণ উপকারী।
মুখের পাশাপাশি চোখেরও উপর ত্বকেরও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এই চোখের আশেপাশে ত্বকেই দ্রুত বলিরেখা ও রিঙ্কেলস দেখা যায়। তাই ত্বকের দেখভালের সময় আই ক্রিম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। চোখের উপর ও চোখের আশেপাশে ত্বককে হাইড্রেটিং ও করতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকে উজ্জবলতা ও যৌবন ফেরাতে এই ক্রিম ব্যবহার করা হয়।
-এতক্ষণ পর্যন্ত যে যে পদ্ধতিতে ত্বকের পরিচর্চা করা হল, তা একটা সময় বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ময়শ্চারাইজারের প্রয়োজন পড়েন। ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করতে ময়শ্চারিং পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– সবশেষে ব্যবহার করা দরকার সানস্ক্রিন ক্রিম। সূর্যের ইউভি রষ্মি, ধূলোবালি, স্কিন ক্যানসার, ত্বকের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্থ থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।