চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় থাকুক টক দই

প্রাকৃতিক ভাবে চুল কন্ডিশনিং করতে চাইলে দই ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।

চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় থাকুক টক দই
ত্বকের ট্যান তুলতে দই খুবই উপকারী।
Follow Us:
| Updated on: Feb 03, 2021 | 5:15 PM

টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে যে ভাল, সে কথা বলে থাকেন অনেক চিকিৎসক এবং নিউট্রিশনিস্ট। তবে দই যে রূপচর্চাতেও কাজে লাগে সেকথা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে বিউটিশিয়ানরা বলেন, চুল এবং ত্বকের যত্নে দই-এর ব্যবহার খুবই উপকারী।

চুলের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে দই-

১। ডিপ কন্ডিশন- প্রাকৃতিক ভাবে চুল কন্ডিশনিং করতে চাইলে দই ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল। কারণ দই-এর মধ্যে থাকা প্রোটিন জাতীয় উপাদান চুলের পুষ্টিতে সাহায্য করে। চুলের চকচকে ভাব অর্থাৎ উজ্জ্বলতা বাড়ে। ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট চুলে দই লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি চুলের অবস্থা খুবই খারাপ হয় তাহলে দইয়ের সঙ্গে সামান্য আমন্ড অয়েল বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। সেই মিশ্রণ মাথায় লাগান।

২। খুশকির সমস্যা কমায়- স্ক্যাল্প বা মাথার তালুর শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে দই। যাঁদের খুবই খুশকির সমস্যা রয়েছে তাঁরা দইয়ের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণ লাগালে উপকার পাবেন। আর যেহেতু দইয়ে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে তাই চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। অর্থাৎ রুক্ষ ভাব, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, অত্যধিক চুল পড়ার সমস্যা কিছুটা হলেও কমে যায়।

ত্বকের যত্নে দই-

১। ত্বকের ট্যান তুলতে দই খুবই উপকারী। বিশেষ করে গরমকালে রোদের তেজে মুখ-গলা-হাত-পা-ঘাড়ের অংশে ট্যান পড়ে যায়। সেই ট্যান তুলতে সাহায্য করে টক দই। এক্ষেত্রে সামান্য হলুদ আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটা লাগাতে হবে।

২। ব্রন-র সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁরা ফেসপ্যাক হিসেবে দই জাতীয় প্যাক লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধু টক দই লাগানোই ভাল। অন্য কোনও উপ্সদান না মেশানোই ভাল। এছাড়া ত্বকের শুষ্ক ভাব কমিয়ে ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে দই।