‘ম্যাজিক’ টোটকা! ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের ফ্যান

আমরা যে ভাতের জল বা ফ্যান ফেলে দিই, সেই ঘন সাদা রঙের জল জাপান ও কোরিয়ার মেয়েরা চুলে ও ত্বকের পরিচর্চার জন্য ব্যবহার করেন। কোনও কিছুই যে ফেলনা নয়, তা বলাই বাহুল্য।

'ম্যাজিক' টোটকা! ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের ফ্যান
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 8:55 PM

ত্বক ও চুলের পরিচর্চার জন্য চালের জল হল এক প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়। ভাবছেন এ বার কী ধরণের টোটকা। চাল ধোয়া জলে কী গুণ রয়েছে? এশিয়ার প্রায় সব দেশেই ভাত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও বাঙালিদের মতো সেদ্ধ ভাত খাওয়ার রীতি রয়েছে। প্রতিদিন ভাত রান্না করার আগে চাল ভাল করে ধুতেই হয়। ভাত রান্নার পর যে অতিরিক্ত জল হাঁড়িতে থেকে যায় তা আমরা ছেঁকে ফেলে দি। কিন্তু সেই জলেই রয়েছে সৌন্দর্য বজায় রাখার চাবিকাঠি। সে ত্বকই হোক বা চুল।

ভাতের ফ্যান চুলের পরিচর্চার জন্য কেন ভাল?

চুলের নানান সমস্যা দূর করতে ভাতের ফ্যানের গুণ পুরো ম্যাজিকের মতো। চুলের ড্যামেজ গার্ড হিসেবে চালের জল বেশ কার্যকরী। কারণ ভাতের ফ্যানে থাকে ইনোসিটল নামে এক প্রকার কার্বোহাইড্রেট। যা চুলের রুক্ষতা, দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। চুলকে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান করে তুলতে, চুল বৃদ্ধিতে, শক্ত ও মজবুত, ঝলমলে এবং মসৃণ চুল পেতে ট্রাই করতে পারেন চালের জল। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চোখ বুজে বিশ্বাস করতে পারেন। চালের জল চুলে দিয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফ্যানের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার বা রোজমেরি অয়েল মেশাতে পারেন। দশমিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভাতের ফ্যানে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ। অ্যামিনো অ্যাসিড, বিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া বন্ধ করে, চুল আরও ঘন করে তোলে ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

মসৃণ ও সুন্দর চুল পেতে শ্যাম্পু করার পর চাল ধোয়া জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।, এই জল মাথায় দেওয়ার পর হালকা করে হাত দিয়ে মাসাজ করুন। সপ্তাহে দুবার করলেই ফল পাবেন। এছাড়া চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহের জন্যও এই ফ্যান যথেষ্ট উপকারী।