রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখা হয় কেন, জানেন?
রোজের খাদ্যতালিকায় ডাল কেন রাখবেন? যাঁরা আমিষ খাবারে অভ্যস্ত, তাঁদের প্রোটিনের জন্য ডাল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে শরীরের প্রোটিন মেটাতে গেলে নিয়মিত ডাল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।
অনেকেই রান্না করার আগে ডাল ধুয়ে থাকেন, অনেকে ডাল জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখার পর জল ছেঁকে রান্না করেন। রাজমা, ছোলের মতো ডাল জাতীয় শস্য রান্নার সুবিধার্থে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখলে ভাল হয়। অনেকে আছে ডাল না ধুয়েও রান্না করেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা দরকার, যে কোনও ডাল জলে ভিজিয়ে রাখার পর রান্না করা উচিত কেন…
– যাঁদের ডাল খেলে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য ডাল সবসময় জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত। বেসিরভাগ ডালে থাকে অলিগোস্যাকারাইডস। একধরণের জটিল শর্করা। জলে ভিজিয়ে না রেখে ডাল রান্না করলে পেট ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া ও গ্যাসের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অন্য অনেক ডাল আছে যেগুলি রান্না করার আগে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়।, তবে মুসুর ডালের ব্যাপারে সেই টোটকা কাজে লাগে না। জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলার পরই রান্না করতে শুরু করা হয়। তবে রান্না করার আগে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা যদি জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা হয়, তাহলে তা শরীরের পক্ষে উপকারী।
– মুসুর ডালে রয়েছে ফাইটেজ নামে একধরণের এনজাইম। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর ফাইটিক অ্যাসিডকে ভেঙে তা সক্রিয় হয়। ডালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক থাকে। সেগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
– মুসুরডালে রয়েছে অ্যামাইলেজ নামে একধরণের উপকারী উপাদান। এই ডাল হজম করতে সহজ হয়।