স্যালাড তৈরির সময় এইসব ভুল ভুলেও করবেন না
স্যালাড খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে। তবেই উপকার পাবেন আপনি।
যাঁরা ডায়েট করেন স্যালাড তাঁদের অন্যতম পছন্দের খাবার। এমনকি অনেকেই ভাবেন পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হলে মেনুতে স্যালাড থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই মেন মিল বা প্রধান খাবারের পরিবর্তে স্যালাডাকেই বেছে নেন তাঁরা।
কিন্তু ঠিকমতো স্যালাড বানাতে না জানলেই বিপদ। স্বাস্থ্য রক্ষার বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর সব খাবার বাদ দিয়ে স্যালাড খেলে শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতির কারণে অপুষ্টিও হতে পারে। অতএব স্যালাড খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে। তবেই উপকার পাবেন আপনি।
স্যালাড বানানোর সময় যা যা মাথায় রাখবেন-
১। স্যালাড বানানোর সময় অনেকেই মেয়োনিজ, চিজ এইসব ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই উপাদানই শরীরে জন্য বেশ ক্ষতিকর। বেশি খাওয়া কখনই ভাল নয়। ফ্রুট স্যালাড হোক বা ভেজিটেবল স্যালাড কিংবা নন-ভেজ, ফল-সবজি বা মাছ-মাংস-ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার পণ্ডশ্রম হবে। ক্যালোরি, ফ্যাট কমার বদলে বাড়তে পারে।
২। ক্রিম বেসড সস কিংবা চিজও বেশ ক্ষতিকর। এছাড়া স্যালাডে সাদা নুন, বিটনুন, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে, তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। সাদা নুনের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করাই ভাল। কখনও মিষ্টি স্বাদের প্রয়োজন হলে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করুন।
৩। অতিরিক্ত মাংস দিয়ে স্যালাড না বানানোই ভাল। শাকসবজির ক্ষেত্রেও ঠিক ভাবে বাছুন। কাঁচা সবজি, শাকপাতার পরিবর্তে হাল্কা সেদ্ধ বা সতে করে সেই সবজি বা শাকপাতা-সবজি স্যালাডে দিন। ফলের ক্ষেত্রে ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া আবশ্যক।
৪। মেয়োনিজ, ক্রিম-সস, চিজের পরিবর্তে স্যালাডে ক্রিম-জাতীয় ভাব আনতে ব্যবহার করুন টকদই বা ইয়োগার্ট।
৫। স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে অলিভ অয়েল, রসুন কুচি বা বাটা (অতি সামান্য পরিমাণে), টোম্যাটো ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বিটনুন-গোলমরিচ-লেবুর রস তো রয়েইছে।