Natural Cold Drink: এই আয়ুর্বেদিক কোল্ড ড্রিংক শরীরকে রাখবে ফ্রিজের মত ঠান্ডা, কমবে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা
Drink To Cool Body Naturally: সব সময় দোকান থেকে কেনা ঠান্ডা পানীয় খাওয়া ভাল নয়। কারণ অধিকাংশই কার্বোনেটেড ওয়াটার। আর এর মধ্যে চিনির ভাগ অনেকটাই বেশি থাকে। অনেক পানীয়ের মধ্যে আবার রং ও মেশানো থাকে
রাজ্য জুড়ে চলছে হিট ওয়েব। এই সপ্তাহে বৃষ্টির দেখা মেলা ভার। আগামী একসপ্তাহ জুড়েই চলবে এমন তাপপ্রবাহ। জারি কমলা সতর্কতা। চরম অস্বস্তি জারি থাকবে দিনভর। পরিবেশ দূষণের ফলে যে এমন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতে গরম আরও বাড়বে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপপ্রবাহ চলাকালীন সকলকে বাড়ির বাইরে বেরোতে মানা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সকাল ৬ টা থেকেই এত রোদ-গরম যে বাড়ির বাইরে বেরনো চাপ। গরম থেকে রেহাই পেতে সকলেই বার বার চুমিক দিচ্ছেন ঠাণ্ডা পানীয়তে। ফলের রস, জল, নুন-চিনি-লেবু দিয়ে শরবত এসব খাচ্ছেন। এছাড়াও রাস্তায় এই সময় বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয়ের দোকান ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠে।
তবে সব সময় দোকান থেকে কেনা ঠান্ডা পানীয় খাওয়া ভাল নয়। কারণ অধিকাংশই কার্বোনেটেড ওয়াটার। আর এর মধ্যে চিনির ভাগ অনেকটাই বেশি থাকে। অনেক পানীয়ের মধ্যে আবার রং ও মেশানো থাকে। বরং এই সব আয়ুর্বেদিক পানীয় খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে আর তা শরীরের জন্যেও খুব ভাল। এছাড়াও এই গরমে বাড়ে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। তাই হিট স্ট্রোক এড়াতে রোদ থেকে ফিরেই ঠাণ্ডা জল খাবেন না। এমনকী চট করে স্নানেও ঢুকবেন না কিংবা চিলড এসির মধ্যেও নয়। আগে কিছুক্ষণ বসে গায়ের ঘাম শুকিয়ে নিয়ে তবেই জল খান। চেষ্টা করবেন ঠান্ডা জল এড়িয়ে চলতে। বাইরে রোদে বেরোলে অবশ্যই টুপি, ছাতা এসব ব্যবহার করুন। এছাড়াও সঙ্গে একটা রুমাল রাখুন। জলে ভিজিয়ে এই রুমাল দিয়ে মুখ মুছে নিতে ভুলবেন না।
দেখে নিন এই স্পেশ্যাল আয়ুর্বেদিক কোল্ড ড্রিংক কী ভাবে বানাবেন-
বীজহীন খেজুর- ১০০ গ্রাম কিশমিশ- ১০০ গ্রাম শুকনো ডুমুর- ১০০ গ্রাম ঠান্ডা জল- ৫০০ মিলি গুড়- ১ চামচ
একটি ব্লেন্ডারে সব রকম উপাদান মিশিয়ে নিন। একদম কম গতিতে ব্লেন্ড করুন। সব কিশু ভাল ভাবে মিশলে তবেই গ্লাসে ঢালুন। চেষ্টা করুন বিকেলের দিকে এই পানীয় একগ্লাস করে খেতে। প্রাকৃতিক ভাবে শীতলতা আর সতেজতা দুই বজায় থাকবে এই আয়ুর্বেদিক পানীয়ের গুণে। সেই সঙ্গে শরীরে আয়রনের চাহিদা তুঙ্গে থাকবে। কোষেও পৌঁছবে পুষ্টি। যাঁদের অ্যালকোহলে আসক্তি রয়েছে তাঁরাও যদি নিয়ম করে এই পানীয় খান তাহলে আসক্তি দূর হবে। এমনকী যাঁরা সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্যও খুব উপকারী এই খেজুরের জুস। অ্যালার্জি, জ্বরের ক্ষেত্রেও বেশ ভাল কাজ করে।