কাঁচা হলুদের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। আজ নয়, বছরের পর বছর ধরে এর চাহিদা রয়েছে আয়ুর্বেদে। রান্নায়, রূপচর্চায় যেমন হলুদ ব্যবহার করা হয় তেমনই পুজো-আচ্চাতেও কাজে লাগে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন নামের একরকম যৌগ। যা একাধিক রোগ সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
কাঁচা হলুদের মধ্যে রয়েছে আরও কিছু অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানও। যে কারণে কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, আদা একসঙ্গে থেঁতো করে চা খেতে বলা হয়। সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে পাওয়া যায় চটজলদি আরাম। রোজ কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত থাকে পরিষ্কার। শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের সমস্যার সমাধানও করে হলুদ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা আছে এই ভেষজের। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, ফ্যাটি লিভার রয়েছে তাঁরা খেলেও উপকার পাবেন। রোজ সকালে যদি কাঁচা হলুদ আর আদা থেঁতো করে চা বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে জলদি গলবে মেদ। কমবে পেটের চর্বিও।
কাঁচা হলুদ যে কোনও রকম প্রদাহ, জ্বালা জনিত সমস্যা আটকাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। ফলে শরীরের জ্বালা ভাব কমে। অনেকের ব্রণর সমস্যাও থাকে। সেক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
চোখের নীচে কালি পড়ছে? এই সমস্যাতেও কাজে আসে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ, মধু আর চিনি মিশিয়ে চোখের চোখের তলায় লাগালে উপকার পাবেন। এতে চোখের তলায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ব্যবহার করতে পারেন হলুদের তেলও।
শরীরের যে কোনও স্ট্রেচ মার্ক দূর করতেও ভূমিকা আছে হলুদের। হলুদের মধ্যে যা উপাদান রয়েছে তা আমাদের ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে। হলুদ থেঁতো করে সাধারণ অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। ব্যথা, ফোলা ভাব দূর হয়। দামও সামান্য. তাই রোজকার ডায়েটে রাখুন হলুদ। বাজার চলতি হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার না করে হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এতেও উপকার পাবেন।