Blood Pressure: ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে এই ৫ পানীয়তে রোজ চুমুক দিন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ভয় আর থাকবে না

Health Drinks for Hypertension: মানসিক চাপ কমানো থেকে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা—এই সব বিষয়েরও খেয়াল রাখতে হয় প্রেশার বাড়লে। তাছাড়া খাবার পাতে যত কম নুন নিয়ে বসবেন, আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল। তবে, রোজ যদি ৫ ধরনের পানীয় খেতে পারেন, অনেকটাই চিন্তামুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন।

Blood Pressure: ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে এই ৫ পানীয়তে রোজ চুমুক দিন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ভয় আর থাকবে না
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2024 | 10:28 AM

ব্লাড প্রেশার বাড়লে ওষুধ ছাড়া থাকার কথা আপনি স্ব‌প্নেও ভাবতে পারবেন না। একদিন ওষুধ না খেলেই ঘটে যেতে পারে বিপদ। যেহেতু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকেই বাড়ে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা, তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। মানসিক চাপ কমানো থেকে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা—এই সব বিষয়েরও খেয়াল রাখতে হয় প্রেশার বাড়লে। তাছাড়া খাবার পাতে যত কম নুন নিয়ে বসবেন, আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল। তবে, রোজ যদি ৫ ধরনের পানীয় খেতে পারেন, অনেকটাই চিন্তামুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন। এমন ৫টি পানীয় রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। এগুলো কোষে ক্ষয় প্রতিরোধ করে, শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

জবা ফুলের চা: চায়ের দুনিয়ায় দার্জিলিংয়ের খ্যাতি থাকলেও রক্তচাপ কমাতে গেলে জবা ফুলের চা-ই খেতে হবে আপনাকে। এই চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ধমনীর চাপ কমায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এই চা। বাজারে জবা ফুলের চা কিনতে পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনি জবা ফুলের পাতাকে শুকিয়ে নিন। সেটা গরম জলে ভিজিয়েও খেতে পারেন।

আপেল জুস: রোজ একটা করে আপেল খেলে ডাক্তারের ফিস বাঁচাতে পারবেন আপনি। আপেল খাওয়ার সময় না থাকলে আপেল জুস খেয়ে নিন। এটি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমায়। আপেলের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। হাইপারটেনশন রোগীদের জন্য এই ফলের রস অপরিহার্য।

বিটের জুস: বিটরুটের মরশুম শেষ। কিন্তু প্রেশারের রোগীদের জন্য এই আনাজের রস সেরা। বিটের জুসের মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে, যা রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২৫০ মিলি করে বিটের রস খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাবেন।

বেদানার রস: বেদানার রসের মধ্যে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফোলেট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমটরি উপাদান। প্রতিদিন বেদানার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। এভাবে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন।

গ্রিন টি: ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে গ্রিন টিয়ের জুড়ি মেলা ভার। তারই সঙ্গে গ্রিন টি খেলে হাইপারটেনশন ও হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। এই চা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি খেলে তবেই কমবে উচ্চ রক্তচাপ।