গোটা মন্ত্রিসভার জেলে যাওয়া উচিত: সুকান্ত মজুমদার
SSC Scam: সম্বিত পাত্র বলেন, "বাংলায় একনায়কতন্ত্র চলছে। তালিবানি শাসন চলছে। এই তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে বাংলার জনতাকে একজোট হতে হবে।"

নয়া দিল্লি: ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ২০১৬ সালের স্কুল শিক্ষা কমিশনের সম্পূর্ণ প্যানেল। রাজ্যের এই দুর্নীতি এবং ২৬ হাজার চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েই এ দিন বিজেপির তরফে নয়া দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তারা বলেন
- ৮ তারিখ আরেকটা শুনানি আছে। বিচারব্যবস্থায় আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। সরকারের দুষ্কর্মের সাজা দেবে
- আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ নিন। যোগ্যদের জন্য যদি ফের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করুন।
- তিন মাস বাদে আবার সিলেকশন প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। এসএসসি-র নিয়মে পরিবর্তন আনুন। শিক্ষক হিসাবে আমার পরামর্শ, যোগ্য শিক্ষকদের জন্য প্রতি বছর নম্বর দিন। যারা পরীক্ষায় বসবেন, তাদের রিলিফ নম্বর দেওয়া হোক।
- সরকারকে গদি ছাড়তে হবে। হয় নিজে ছাড়ুন নাহলে জনগণ কান ধরে টেনে নামাবেন।
- সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে। কালীঘাটের কাকুর অডিয়ো ক্লিপ রয়েছে। সেখানে শোনা যাচ্ছে, পার্থ খুব লোভী, ওকে ২৫ কোটি দাও, অভিষেককে ২০ কোটি টাকা দাও। এই অভিষেক কে, সবাই জানে।
- মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে যোগ্যদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এটাই আমাদের দাবি।
- আমাদের একটাই প্রশ্ন, ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্দোষ। তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গকে শপিং মল বানিয়ে রেখেছে, শিক্ষক, চাকরি থেকে বালি, যা চাইবেন, সব কিনতে পারবেন টাকার বিনিময়ে।
- হাইকোর্ট বলেছিল যে দোষীদের চিহ্নিত করুন। এটাও বলে দিয়েছিল যে আনুমানিক ৫ হাজার কর্মী টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা বলেছিল যে সরকার বাঁচাতে চাইলে দুধ আর জল মিশিয়ে দিন। এখন পাশা উল্টে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকি ধরা পড়ে গিয়েছে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচাতে পারতেন। সবাই তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। গতকাল শিক্ষকরা কাঁদছিলেন। আমার প্রথম চাকরি স্কুল সার্ভিস কমিশন দিয়ে। আমার স্ত্রী এখনও চাকরি করেন। বাংলায় সবসময় শিক্ষকদের শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি টপার, গোল্ড মেডালিস্টরা কাঁদছিলেন। কীভাবে পরিবার চালাবেন, মা-বাবার চিকিৎসার খরচ কীভাবে চালাবেন, তা ভেবে। এর জন্য দোষী একজনই- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপার নিউমেরারি বানিয়ে দোষীদের বাঁচিয়েছেন। ক্য়াবিনেট বসানো হয়েছিল আলাদাভাবে। প্রধান সহ পুরো ক্যাবিনেটকে জেলে যেতে হবে।
- বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সকলকে দোষারোপ করেছেন। সুকান্ত মজুমদার থেকে সিপিআইএম নেতা, আদালত, বিচারব্যবস্থা-সকলকে দোষ দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের যে নেতারা টাকা নিয়েছে, তাদের নাম বললেন না।
- তৃতীয়, আজ এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা দেশের বড় একটা আলোচ্য বিষয়। আজই ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হবে বাংলায়। মানুষের নজর ঘোরাতে এমন কিছু করবেন, যাতে এই ঘটনা থেকে নজর সরে যায়।
- দ্বিতীয়ত, যাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে, তাদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
- সম্বিত পাত্র প্রশ্ন করেন, এই টাকা কাদের রক্তমাংসের উপার্জন? ওই আবেদনকারীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। ওনাকে ইস্তফা দিতে হবে। যদি একটুও মানবিকতা বেঁচে থাকে, তবে আজই ইস্তফা দেওয়া উচিত।
- পার্থ অর্পিতার ছবি দেখিয়ে বলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন। দুইবার ইডি অভিযানে ৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। কীভাবে কোটি কোটি টাকা হাতানো যায়, তার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমাদের ঘরে ঝাড়ু দিলেও এত কাগজ বেরবে না, যত টাকা উদ্ধার হয়েছিল পার্থ-অর্পিতার বাড়ি থেকে।
- ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা, শান্তনু কুণ্ডু, কুন্তল ঘোষ। সম্বিত পাত্র বলেন, “বাংলায় একনায়কতন্ত্র চলছে। তালিবানি শাসন চলছে। এই তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে বাংলার জনতাকে একজোট হতে হবে।”
- সুপ্রিম কোর্টের রায় পড়ে তিনি বলেন, “প্রতারণা হয়েছে। কীসের বৈধতা- বিশ্বাসযোগ্যতা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে গিয়েছে। এটা বিজেপ বলছে না। সুপ্রিম কোর্ট বলছে। হাইকোর্ট ঠিক বলেছে। ২৩-২৪ লাখ যুবক-যুবতী আবেদন করেছিল। প্রত্যেক আবেদনকারীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল।”
- সম্বিত পাত্র বলেন, “রাজ্যে সিবিআই ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরা বুক ফুলিয়ে ডাকাতি করব। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে। এর আগে হাইকোর্ট যখন রায় দিয়েছিল, তখন ১২৬ জন আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই আর্জি নিয়ে যে হাইকোর্টের নির্দেশকে যেন খারিজ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজন আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ছিল। সরকার তখন বলেছিল, হাইকোর্ট ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাইকোর্ট শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। গতকাল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ রায় দিয়েছে। “

সর্বনাশ! বাড়ির মূল দরজায় এসব রেখেছেন? বিপদ ডাকছেন অজান্তেই

মানি প্ল্যান্ট তাজা রাখতে জলের সঙ্গে মেশান এই জিনিস, তা হলেই...

জীবনে তাড়াতাড়ি সাফল্য চান? প্রেমানন্দ মহারাজের মতে এ কাজ করলেই...

জীবনের কোন কথা সব সময় লুকিয়ে রাখতে হয়? নিম করোলি বাবা বলেছেন...

বাড়িতে বাচ্চা থাকলে AC-র তাপমাত্রা কত রাখা উচিত? বিশেষজ্ঞ বলছেন...

আখের রস নাকি ডাবের জল, চাঁদিফাটা গরমে শরীরের জন্য কোনটা বেশি ভালো?