Makhana Farming in Bengal: পুষ্টিগুণে ভরপুর মাখানা এই রাজ্যের কোথায়, কীভাবে চাষ হয় জানেন?
Makhana Production: ওজন, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মাখনার অ্যান্টি এজিং ক্ষমতাও রয়েছে। এ সব পুষ্টিগুণের জন্যই জাপান, রাশিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে এর বেশ কদর রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে ভারতেও এর চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাষও বাড়ছে। ভারতে কোথায় মাখানার চাষ হয় জানেন? আমাদের রাজ্যে বা মাখানার ফলন কেমন?
কলকাতা: কোভিড পরবর্তী বিশ্বে মাখানা যেন সুপারফুড। পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ- দুইয়ের জোরেই প্রচুর স্বাস্থ্য সচেতনদের খাদ্যাভাসে জায়গা করে নিয়েছে ফলের বীজ থেকে তৈরি মাখানা খই। জিরো কোলেস্টেরল, লো ফ্যাট, গ্লুটেন ফ্রি, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ মাখানা খই অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ওজন, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মাখনার অ্যান্টি এজিং ক্ষমতাও রয়েছে। এ সব পুষ্টিগুণের জন্যই জাপান, রাশিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে এর বেশ কদর রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে ভারতেও এর চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাষও বাড়ছে। ভারতে কোথায় মাখানার চাষ হয় জানেন? আমাদের রাজ্যে বা মাখানার ফলন কেমন?
বিশ্বের খুব কম জায়গাতেই মাখানার চাষ হয়ে থাকে। রাশিয়া, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশে মাখানার উৎপাদন হয়। ভারতেও প্রচুর পরিমাণে মাখানার উৎপাদিত হচ্ছে। এবং গত কয়েক বছরে তা বেড়েছে। তবে ভারতের সর্বত্র যে এই চাষ হয়, তা নয়। মূলত বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে হয় এর চাষ। বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ- দুই রাজ্যেরই সীমান্ত এলাকার বেশি হয় এই চাষ। পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহারের বেশ কয়েকটি জেলায় এই চাষ হচ্ছে। এবং যত দিন যাচ্ছে দারভাঙ্গা, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, কাটিহার, সীতামারহি, সহরসা, পূর্ণিয়ার মতো জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে মাখানা।
বিহারের পশ্চিমবঙ্গেও এই চাষ শুরু হয়েছে। তবে বাংলার সব জেলায় মোটেই এই চাষ তেমন হয় না। এর চাষ মূলত হয় মালদহ জেলায়। তবে গোটা মালদহ জেলা বললেও ভুল হবে। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২, রতুয়া ১ ও ২, চাঁচল ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর মাখানা চাষ হচ্ছে। গত কয়েক বছরে সেই চাষের পরিমাণ বেড়েছে। এখান থেকে বিদেশেও তা রফতানি করা হচ্ছে।
কীভাবে হয় এই চাষ?
পশ্চিমবঙ্গে মাখানার চাষ হয় মূলত মালদা জেলার কয়েকটি ব্লকে। মূলত জলাভূমিতেই হয় এই চাষ। অনেকটা পানিফলের মতো। জলাভূমির মাটিতে মাখানার চারাগাছ পোঁতা হয়। একটি গাছ থেকে প্রায় ১৫-২০টি করে ফুল হয়। সেই ফুল থেকেই হয় ফল। যা অনেকটা কমলালেবুর মতো আকারের। প্রতিটি ফলের মধ্যে ২০-২৫টি ছোট ছোট বীজ থাকে। সেই বীজ সংগ্রহ করা হয়। সেই বীজের সঙ্গে লেগে থাকে বীজত্বক। তা সমেতই বীজ ভালভাবে প্রথমে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এর পর তা কড়াইয়ে বালিতে ভাজা হয়। তার পর মাটিতে ফেলে কাঠ দিয়ে পেটালে বীজত্বক ফেটে খই বেরিয়ে আসে। সে গুলিই বাজারজাত যা হয়। যার কদর দিনে দিনে বাড়ছে গোটা বিশ্বে।