এই চার পদ্ধতিতেই শরীর হোক ডিটক্স, ফিরুক জেল্লা, টিপস দিলেন করিনা-করিশ্মার ডায়েটিশিয়ান রুতুজা
এই কয় দিন লাগামছাড়া অনিয়মের ফলে আপনার 'টক্সিক' শরীরকে আবারও 'ডিটক্স' করতে মেনে চলুন মাত্র এই পাঁচটা ঘরোয়া টিপস। টিপস দিচ্ছেন করিনা কপূর খান, শাহিদ কপূর, সইফ আলি খানের ব্যক্তিগত ডায়েটিশিয়ান (পুষ্টিবিদ) রুজুতা দিবেকর।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: কচি পাঁঠার ঝোল, ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানি, তন্দুরি চিকেনের লেগপিসে কামড় বসিয়ে উৎসবের মরসুমে ডায়েটকে করেছিলেন টা-টা? ভাইফোঁটা পার হতেই বদহজম, অম্বলের ফলে মুখে অরুচি? একই সঙ্গে গা ম্যাজম্যাজে ভাব, ক্লান্তি, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়া, আর সেই কারণে অফিসে বসের বকুনিতে নাজেহাল আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। এই কয় দিন লাগামছাড়া অনিয়মের ফলে আপনার ‘টক্সিক’ শরীরকে আবারও ‘ডিটক্স’ করতে মেনে চলুন মাত্র এই পাঁচটা ঘরোয়া টিপস। টিপস দিচ্ছেন করিনা কপূর খান( kareena kapoor khan), শাহিদ কপূর, সইফ আলি খানের ব্যক্তিগত ডায়েটিশিয়ান (পুষ্টিবিদ) রুজুতা দিবেকর। (Rujuta Diwakar)
গুলকান্দ
সাধারণ বাঙালি বাড়িতে গুলকান্দ খাওয়ার চল খুব একটা দেখা যায় না। আদপে বিদেশি এই খাবারের আগমন সম্ভবত পারস্য থেকে। তবে শরীর ঠান্ডা করতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং ‘হ্যাংওভার’ কাটাতেও খুব ভাল ফল দেয়। একটি কাঁচের কৌটোর মধ্যে গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি এবং চিনি মিশিয়ে সূর্যের আলোয় রেখে দিন টানা দশ দিন। এর পর দুধ অথবা জলের সঙ্গে খাওয়ার আগে অল্প করে গুলকান্দ খান। একসঙ্গে বেশি খাবেন না। গুলকান্দ কিন্তু কাঁচের বয়ামের মধ্যে রেখে ছয় মাস এমনকি এক বছর অবধিও খাওয়া যায়। অম্বল দূর করার পাশাপাশি রক্ত পরিশোধন, দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
View this post on Instagram
আখের রস
রুজুতা জানাচ্ছেন শরীর থেকে বর্জ্যপদার্থ নিরাময়ে আখের রসের কোনও বিকল্প নেই। আখ চিবিয়েও খেতে পারেন অথবা রস করে। স্বাদের জন্য তাতে যোগ করতে পারেন পাতিলেবুর রস, বিট নুন। পেটভার, অম্বলের সমস্যা দূর হবে সহজেই। ফিরে পাবেন ত্বকের জেল্লাও। আখের রসে যে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড থাকে তা ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনায় কাজ দেয় ম্যাজিকের মতো। দূর হয় অ্যাকনের সমস্যাও।
View this post on Instagram
তালের গুড় আর দেশি ঘি
তালের গুড়ের সঙ্গে কখনও দেশি ঘি মিশিয়ে খেয়েছেন? না খেলে এখনই খান। রুতুজা বলছেন, ভরপেট খাওয়ার পর এই মিশ্রণ আপনার শরীরকে করে তুলবে একেবারে পরিশুদ্ধ। শরীরের যাবতীয় টক্সিক জিনিস বের হয়ে যাবে সহজেই। রক্ত হবে পরিশ্রুত। কাজ করার এনার্জি খুঁজে পাবেন আবারও। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলেও তা দূর হবে এই মিশ্রণের মাধ্যমে। তালের গুড় যদি না-ও পান সেক্ষেত্রে খেজুরের গুড় দিয়েও বানাতে পারেন এই মিশ্রণ। খালি পেটে নয়। ভরপেট খাবার খাওয়ার পরেই খাবেন গুড়-ঘি’র এই দেশি প্যাক। শীতকাল এসেই গিয়েছে। তাই গুড় পেতেও সমস্যা না হওয়ারই কথা।
View this post on Instagram
ডাবের জল
ডাবের জল যে শরীর ঠান্ডা করে সে কথা ছোট থেকেই শুনে আসছি আমরা। রুজুতারও পরামর্শ শরীরকে ডিটক্স করতে কাজে লাগান ডাবের জল। শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল বাগে আনতে এর চেয়ে ভাল কিছু নেই বলেই মনে করছেন তিনি। ডাবের জলের পাশপাশি কচি ডাবের শাঁস খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তবে মাথায় রাখবেন ডাবের জল, নারকেলের জল কিন্তু নয়। আর শাঁস যদি খানিক পুরো হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হজমেও সমস্যা হয় অনেকেরই।
এ সবের পাশপাশি আগামী বেশ কয়েকটা দিন তেল-মশলা থেকে দূরে থেকে বাড়ীর খাবার খান। পরিমিত জল খান। এক্সসারসাইজ করুন। ফিরবে গ্লো, দূর হবে ক্লান্তি, মিটবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও। মনে রাখবেন রুতুজার টিপস অনুসরণ করেই কিন্তু ৪০-এও হট বেবো-লোলোরা…।