Bikaner Camel Festival 2022: ওমিক্রনের কারণে স্থগিত বিকানেরে বিখ্যাত উটের উত্সব! জেনে নিন এই উত্সব সম্পর্কে অজানা তথ্য
সাধারণত জানুয়ারিতেই বিকানের ক্যামেল ফেস্টিভ্যালের অনুষ্ঠিত হয়। মরুরাজ্যে এমন চোখ ধাঁধানো উত্সবে উটের নাচ, দৌড়, সাফারি, রাইড ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু ওমিক্রনের দাপটে রীতিমত তটস্থ দেশবাসী।
প্রতি বছর রাজস্থানের বিকানেরে উটের উত্সবের আয়োজন করা হয়। দেশের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উত্সবের আয়োজন করে রাজস্থানের পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগ এই আয়োজন। সাধারণত জানুয়ারিতেই বিকানের ক্যামেল ফেস্টিভ্যালের অনুষ্ঠিত হয়। মরুরাজ্যে এমন চোখ ধাঁধানো উত্সবে উটের নাচ, দৌড়, সাফারি, রাইড ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু ওমিক্রনের দাপটে রীতিমত তটস্থ দেশবাসী। গুরুতর বা মৃত্যসংখ্য়ার মাত্রা কম থাকায় এর ভয়াবহতা না থাকলেও এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী কোভিড সংক্রমণ। আর এই কারণেই এ বছর এমন বিখ্যাত বিকানের উটের মেলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজস্থানের অত্যন্ত স্থানীয় একটি উত্সব।কিন্তু এই উত্সবের মাহাত্ম্য কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান লোককাহিনি। আগুন নিয়ে নাচ থেকে শুরু করে লোকসংগীতের মুর্চ্ছনা, বিখ্যাত পুতুল নাচ এইগুলিই ওই ফেস্টিভ্য়ালে প্রদর্শন করা হয়। গোটা ফেস্টিভ্যাল জুড়েই মিশে থাকে রাজস্থানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্প। শুধু তাই নয়, মেলাতেই পাবেন উত্সবের অন্যতম আকর্ষণ। উটের দুধ দিয়ে তৈরি চা, মিষ্টির মত সুস্বাদু সব খাবার। হস্তশিল্প, গয়না, মৃত্শিল্পগুলি না দেখলে অনেককিছু মিস করবেন।
বিকানের উট উত্সব
সাধারণত জানুয়ারির মধ্য়েই এই উত্সব পালন করা হয়। এবার ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওমিক্রনের কারণে তা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মরুরাজ্যের জাহাজ উটকে বলে। তাকে ঘিরেই উত্সব পালন করা হয়।
ইতিহাস
গোটা বছর শুধু মানুষদের জন্যই রয়েছে মেলা-উত্সব, আনন্দ করার অধিকার। এমনটা ভাবাই ভুল। প্রাণীদের জন্যও রয়েছে আনন্দোত্সব। ঠান্ডা ও কঠিন আবহাওয়ায় ও মরুভূমির মধ্যে বেঁচে থাকে তারা। রাজস্থান সরকারের পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগ এই প্রাণীদের উদযাপনের জন্য এটি একটি উদ্যোগ। উটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কাহিনি এখানে বলা হয়। তা হল, রাও বিকা জি, শহরের প্রতিষ্ঠাতা। সেই সময় থেকেই বিকানের হল উট প্রজনন অঞ্চল। উটও ছিল সেনাবাহিনীর অংশ। গঙ্গা রিসালা নামে পরিচিত ছিল এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অংশ ছিল তারা। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সেবার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আজও স্মরণ করে।
ভ্রমণ টিপস
জানুয়ারি মাস সাধারণত সন্ধ্যার শেষের দিকে এবং ভোরের দিকে বেশ ঠাণ্ডা থাকে। বিশেষ করে বিকানেরে। তাই গরম জামাকাপড় ব্যাকপ্যাকে নিতে ভুলবেন না যেন। দিনেরবেলা রোদ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে আপনার সানস্ক্রিন লোশন নিন।
উট সাফারি -উট সাফারির অভিজ্ঞতা না থাকলে বিকানের ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। তাই, উটের যাত্রার অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিন।
জুনাগড় দুর্গ- আপনি যদি একজন স্থাপত্যপ্রেমী হন তবে আপনার অবশ্যই জুনাগড় ফোর্টটি দেখতে যাবেন। পূর্বে চিন্তামণি মহল নামে পরিচিত ছিল। দুর্গটি ২০ শতকের প্রথম দিকে রাজা রায় সিং তৈরি করেছিলেন।
করনি মাতার মন্দির- ইঁদুরের মন্দির নামেও পরিচিত। এটি পবিত্র গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি। নাম অনুসারে, মন্দিরটি প্রায় ২৫ হাজার কালো ইঁদুরের জন্য একটি বাড়ি প্রদানের জন্য পরিচিত এবং ভক্তরা তাদের পূজা করেন। এটি৬০০ বছর আগে মহারাজ গঙ্গা সিং তৈরি করেছিলেন।
লালগড় প্রাসাদ – সমস্ত ইতিহাসবিদদের জন্য, লালগড় প্রাসাদ আপনার যাওয়ার জায়গা। রাজস্থানের রাজকীয় এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সূচনা করে এটি। রাজপুত, মুঘল থেকে ইউরোপীয় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণে থর মরুভূমির লাল পাথর দিয়ে প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল।
স্থানীয় বিকানের খাবার – বিকানেরের স্থানীয় খাবার আপনাকে প্রেমে ফেলে দিতে পারে। খাঁটি রাজস্থানি সুস্বাদু খাবারগুলি আপনাকে আরও কিছুর জন্য আকাঙ্ক্ষা করবে। জনপ্রিয় খাবারটি হল বিকানেরি ভুজিয়া। বেসন এবং মটর বিন দিয়ে তৈরি। অন্যান্য সুস্বাদু খাবার হল রাজ কচোরি, গেট কি সবজে, ডাল বাটি চুর্মা, ঘেভার এবং লাল মান।
আরও পড়ুন: Thailand: ওমিক্রনের কারণে বিদেশি পর্যটকদের জন্য কোয়ারান্টাইন-ফ্রি ভিসা পলিসি স্থগিত করল থাইল্যান্ড!