Dooars: বর্ষার শুরুটা হোক পাহাড়ে, এই সুযোগে ঢুঁ মারুন ঝান্ডি থেকে

Jhandi: মহানন্দা নদী উপত্যকা আর কাঞ্চনজঙ্ঘার প্যানোরমিক দৃশ্য দেখার জন্যই বেশির ভাগ মানুষ ভিড় করে ঝান্ডিতে।

Dooars: বর্ষার শুরুটা হোক পাহাড়ে, এই সুযোগে ঢুঁ মারুন ঝান্ডি থেকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 4:29 PM

একটু নির্জনতা খোঁজেই বার বার ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যায় পাহাড়ে। এখন মাত্র তিন দিনের ছুটিতেও ঘুরে আসা যায় উত্তরবঙ্গ। শুধু বেছে নিতে হবে কোনও নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। যদিও এমন অফবিট ডেস্টিনেশনের অভাব নেই। যদিও মানুষের ভিড় বাড়ায় পাহাড়ি গ্রামগুলো আর নেই অফবিটের তালিকায়। তবুও এখানে সৌন্দর্যতা এবং নৈসর্গিক পরিবেশের জন্য বার বার ছুটে যেতে হয়। উত্তরবঙ্গের এমনই একটি নিরালা গ্রাম হল ঝান্ডি।

ডুয়ার্স অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম ঝান্ডি। লাভা হয়ে গরুবাথান যাওয়ার পথে নিশ্চুপে ঘুমিয়ে রয়েছে এই ঝান্ডি। মহানন্দা নদী উপত্যকা আর কাঞ্চনজঙ্ঘার প্যানোরমিক দৃশ্য দেখার জন্যই বেশির ভাগ মানুষ ভিড় করে ঝান্ডিতে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ঝকমক করে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে জুন মাস পড়ে গিয়েছে, সুতরাং আকাশ পরিষ্কারের স্বপ্ন নিয়ে উত্তরে পাড়ি দেওয়া বোকামো হবে। তবে মেঘলা দিনেও অন্যরূপে সেজে ওঠে ঝান্ডি। মেঘ-কুয়াশার জাল, বৃষ্টি ফোঁটার শব্দ, গাঢ় সবুজ গাছপালা, সোঁদা গন্ধওয়ালা ভেজা ঠান্ডা বাতাস- এই সব নিয়েই বর্ষার ঝান্ডি অপরূপ।

প্রকৃতিপ্রেমী হোক বা পক্ষীপ্রেমী, কিংবা অর্কিড দেখার জন্য পাগল কাউকেই নিরাশ করে না ঝান্ডি। শাল ও পাইনে ঘেরা সবুজ জঙ্গলে অনায়াসে হারিয়ে যেতে পারেন এখানে। তারই মাঝে দেখা মিলতে পারে ইয়েলোনেপ, উডপেকার, মাউন্টেন বুলবুল, ব্লু-উইঙ্গড মিনলা, ভার্ডিটার ফ্লাইক্যাচারম স্ট্রিয়াটেড লাফিংথ্রাশ, রেড-বিলড লিওথ্রিক্স, গ্রিন-ব্যাকড টিট, হুইসকার্ড, ইউহানা, রুফাস-বেলিড নিলটাভা প্রভৃতির। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলে এর সঙ্গে দেখা মিলতে পারে বহু নাম না জানা আরও পাহাড়ি গ্রামের। এই সব গ্রামগুলো মূলত বাস লেপচাদের।

সাধারণত ঝান্ডির হোমস্টেতে বসেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। কিন্তু বর্ষার সময়ে যেহেতু সেই সুযোগ নেই, তাই মহানন্দা নদী উপত্যকার প্যানোরমিক ভিউ বেশি নজরকাড়া। যদিও বর্ষার সময়ে চা বাগানের ভেজা মাটির গন্ধও মন মাতানো। বৃষ্টির দিনে পাহাড়ে কোলে দু দণ্ড নিজের মতো সময় কাটানোর আদর্শ গন্তব্য ঝান্ডি।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন:

নিউ মল জংশন থেকে ৩২ কিলোমিটারের পথ ঝান্ডি। গাড়িতে ঘণ্টাখানেক যেতে সময় লাগে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঝান্ডির দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। এখানে গাড়ি ভাড়া ২,০০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা। ঝান্ডি গেলে বেশির ভাগ মানুষ ইকো হাটেই দিন কাটান। এছাড়াও এখানে কটেজ, হোমস্টে, কাঠের কটেজ রয়েছে যেখানে আপনি রাত কাটাতে পারবেন। এই সব জায়গায় থাকা-খাওয়ার খরচ জনপ্রতি ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু।