Silk Route: রংপো নদীর তীরে কাটান একটা রাত্রি; সিল্ক রুটেই লুকিয়ে এই অফবিট

East Sikkim: রংলি থেকে বাঁ দিকে ধরে এগোলে চোখে ধরা পড়বে সবুজ বনানী। পাহাড়ের উপর থেকে ধরা পড়বে রংপো নদীর অবিরাম বয়ে চলা।

Silk Route: রংপো নদীর তীরে কাটান একটা রাত্রি; সিল্ক রুটেই লুকিয়ে এই অফবিট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 12:10 PM

সামনে পুজোর ছুটিতে অনেকেই নিশ্চয়ই সিল্ক রুট যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সিল্ক রুতে গেলেই বাকেট লিস্টে থাকে জুলুক। জুলুক নিঃসন্দেহে একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু এই রুটে আপনি খুঁজে নিতে পারেন অন্য এক গন্তব্য। গ্রামের নাম লোসিং। যদিও এই পাহাড়ি গ্রাম কারও কারও কাছে রংপোখোলা নামেও পরিচিত। পূর্ব সিকিমের পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত ছোট্ট জনপদ এই লোসিং কিংবা রংপোখোলা।

সিল্ট রুট গেলে রোলেপখোলা হয়ে পৌঁছে যেতে পারেন লোসিংয়ে। নিউ জলপাইগুড়ি কিংবা পাকইয়ং থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন রংলি। রংলি থেকে বাঁ দিকে ধরে এগোলে চোখে ধরা পড়বে সবুজ বনানী। পাহাড়ের উপর থেকে ধরা পড়বে নদী। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ভাগ হয়ে গিয়েছে গভীর নদীখাদ। বেশ কিছুটা পথ এগোলেই চোখে পড়বে একটি পুরনো ঝুলন্ত সেতু। আর তার নীচে দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে রংপো নদী। এখানে রংপো নদীর রূপ দেখে মনে হবে, পাহাড়ের বুক চিরে নদীটা নেমেছে এখানে।

লোসিং যাওয়ার পথে রংপো নদী আপনার সঙ্গ নেবে। এখান থেকে ঘুরে নিতে পারেন বুদ্ধ জলপ্রপাত। বুদ্ধ জলপ্রপাতের কাছে গাড়ি যায় না। সুতরাং পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে পৌঁছে যান বুদ্ধ জলপ্রপাতের দিকে। পাহাড়ের ধাক্কা খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে জলরাশি। বুদ্ধ জলপ্রপাত ঘুরে রওনা দিন লোসিংয়ের উদ্দেশ্যে।

এই রংপো নদীর কোলেই অবস্থিত লোসিং। এখানে খরস্রোতা রংপো বয়ে চলে নিজের ছন্দে। কিন্তু এখানে নদী খুব একটা প্রশস্ত নয়। যদিও লোসিংয়ের উচ্চতাও ৩,০০০ ফুট। উঁচু পাহাড় এবং ঘন জঙ্গলে ঢাকা লোসিং। এখানের আরণ্যক পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। লোসিংয়ে রংপোর তীরে বসেই সময় কেটে যাবে আপনার। নদীর উপর রয়েছে বহু পুরনো কাঠের সেতু। সেতুর একদিকে পা দিলে দুলে উঠবে বাকি সেতু। সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে চমৎকার প্রবাহ দেখতে পারেন রংপো নদীর।

মূলত রংপো নদীর তীরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। তবে এই খরস্রোতা নদীর বয়ে চলা দেখার পাশাপাশি উপভোগ করতে পারেন পূর্ব সিকিমের সৌন্দর্য। নদীর অপূর্ব দৃশ্য দেখা যেমন এক প্রকার মনোরম অভিজ্ঞতা তেমনই রংপোর পারে বসে এখানে দেখা মিলতে পারে রংবেরঙের পাখির। রয়েছে প্রজাপতির সমাহারও। লোসিংয়ের পাশাপাশি এখান থেকে মাছং গুম্ফা, রংপো ড্যাম এবং হরপার্বতীর মন্দিরের মতো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখে নিতে পারেন।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে লোসিংয়ের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। আর যদি পাকইয়ং হয়ে লোসিং যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে দূরত্ব পড়বে মাত্র ৪০ কিলোমিটার। লোসিংয়ের রাত্রিযাপনের জন্য একটি হোমস্টে এবং রিসর্ট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ ৮০০ টাকা।