Mumbai Airport: ভারতের প্রথম হাইব্রিড প্রযুক্তির বিমানবন্দর, সব কাজ সম্পন্ন হচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তিতে
Green Energy Sources: বিমানবন্দরের প্রতিদিনের কর্মকার্যে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তার ৯৫ শতাংশ সরবরাহ করে জল এবং বায়ুশক্তি। আর বাকি ৫ শতাংশ সৌরশক্তি।
মুম্বইয়ের (Mumbai) ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন দেশের প্রথম ‘সবুজ’ বিমানবন্দর (Airport)। আদানি গ্রুপ-এএআই পরিচালিত মুম্বই বিমানবন্দর এবার থেকে প্রাকৃতিক শক্তি (Green Energy) ব্যবহার করে প্রতিদিনের কর্মকার্য চলছে। অর্থাৎ, বায়ুশক্তি, জলশক্তি এবং সৌর শক্তির মাধ্যমে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হচ্ছে মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার সীমিত এবং দিন দিন বেড়ে চলেছে এর চাহিদা—এটা ভেবেই সমস্ত প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করে বিমানবন্দর পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের প্রতিদিনের কর্মকার্যে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তার ৯৫ শতাংশ সরবরাহ করে জল এবং বায়ুশক্তি। আর বাকি ৫ শতাংশ সৌরশক্তি। এখন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব বিমানবন্দর। এটি ভারতের প্রথম হাইব্রিজ প্রযুক্তিতে চালিত বিমানবন্দর, যা শুধুমাত্র সবুজ শক্তিতে চলছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে বিমানবন্দরটি সব ধরনের প্রাকৃতিক শক্তির উৎস ব্যবহার করছে প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য। এপ্রিল মাসে ৫৭ শতাংশ প্রাকৃতিক উৎস ব্যবহার করা হত। এটাই মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ শতাংশ। অগস্টে এই বিমানবন্দর পরিণত হয়েছে ভারতের প্রথম ‘সবুজ’ বিমানবন্দর। অর্থাৎ অগস্ট থেকে মুম্বই বিমানবন্দর পুরোপুরি প্রাকৃতিক শক্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে। এটি এখন সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক শক্তির উপর নির্ভরশীল।
এপ্রিল মাসে যখন পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রকল্প চালু করা হয় তখন ১.০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হয়। কিন্তু এখন সেটা গিয়েছে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৬ মেগাওয়াটে। সৌরশক্তি বিমানবন্দরে ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এছাড়াও জল ও বায়ুশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানবন্দরের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পাদনের জন্য। পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে, ২০২৯ সালের মধ্যে সমস্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘নেট-জ়িরো’ হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।