পহেলগাঁওয়ের পাঁচ চমক, জম্মু-কাশ্মীর গেলে এই জায়গাগুলো বেড়াতে ভুলবেন না কিন্তু
চিরাচরিত ট্যুরিস্ট স্পট ছাড়াও পহেলগাঁওয়ের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক জায়গা যা হয়তো এখনও সেভাবে প্রচার পায়নি সকলের কাছে। অথচ এইসব জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কোনও অংশে কম নয়। দেখে নেওয়া যাক এমন কী কী জায়গা রয়েছে পহেলগাঁওয়ে।
জম্মু-কাশ্মীর ভ্রমণ প্রেমীদের সবসময়ের পছন্দের ভ্যাকেশন ডেস্টিনেশন। স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য রয়েছে এই জায়গায়। ঘন সবুজ উপত্যকা, চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে আকাশছোঁয়া পর্বতশ্রেণি, শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটনের ভরা মরশুমে পর্যটকের আনাগোনা লেগেই থাকে।
তবে চিরাচরিত ট্যুরিস্ট স্পট ছাড়াও পহেলগাঁওয়ের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক জায়গা যা হয়তো এখনও সেভাবে প্রচার পায়নি সকলের কাছে। অথচ এইসব জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কোনও অংশে কম নয়। দেখে নেওয়া যাক এমন কী কী জায়গা রয়েছে পহেলগাঁওয়ে।
১। বেতাব ভ্যালি- পহেলগাঁওয়ের বেতাব উপত্যকার সৌন্দর্য্য না দেখা মানে সত্যিই আপনি বিশেষ কিছু ‘মিস’ করে যাবেন। এখান থেকে ট্রেকিং করার সুযোগ রয়েছে। হেঁটে ঘুরেফিরে দেখতে পারেন চারপাশ। আর যদি শুধু প্রকৃতি উপভোগ করতে চান, তাহলে গরম চায়ের কাপ নিয়ে বসে পড়ুন আপনার ঠিকানার ব্যালকনিতে। ঘন সবুজ উপত্যকা দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
২। লিডার নদী- পহেলগাঁওয়ের ‘আইকনিক ট্যুরিস্ট স্পট’ হল এই লিডার নদী। সমস্ত কোলাহল থেকে দূর শান্ত নির্জন জায়গায় বসে দু’দণ্ড সময় কাটাতে চাইলে লিডার নদীর চারপাশের প্রকৃতি আপনার জন্য আদর্শ। এপ্রিল থেকে এখানে মাছ ধরার অর্থাৎ ফিশিং সিজন শুরু হয়। চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর সিজনে অংশ নিতে চাইলে তিনদিনের জন্য পারমিট তৈরি করা হবে। যিনি প্রথমে আসবেন পারমিট তৈরিতে তিনিই আগে সুযোগ পাবেন। পারমিট শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনের জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে। এই পারমিট তৈরির জন্য শ্রীনগরে অবস্থিত Directorate of Fisheries, Tourist Reception Centre- এ যোগাযোগ করতে হবে।
৩। আরু ভ্যালি- লিডার উপত্যকার একটি ছোট্ট গ্রাম এই আরু ভ্যালি। পহেলগাঁওয়ের বিভিন্ন ট্রেকিং শুরু হয় এখান থেকেই। কোলাহোই গ্লেসিয়ারে যাওয়ার জন্য এই আরু ভ্যালি থেকে ট্রেন শুরু করেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন- বেড়াতে গেলেই পাওয়া যাবে টাকা! শুধু টানা তিনদিন থাকতে হবে, কোথায় রয়েছে এমন সুযোগ?
৪। পহেলগাঁও গলফ কোর্স- পহেলগাঁওয়ের এই এলাকা মূলত যাঁরা গলফ খেলতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বিখ্যাত। অপূর্ব সুন্দর গলফ কোর্স রয়েছে এখানে। তবে চারপাশে সবুজ দেখে চোখে আরাম দিতে চাইলে যে কেউ এখানে যেতে পারেন।
৫। শেষনাগ লেক- বলা হয় পহেলগাঁওয়ের এই জায়গা এতটাই শান্ত যে নিজের হৃদস্পন্দনও নাকি শোনা যায়। স্বচ্ছ জলের এই লেকের চারধারে বরফ আবৃত পাহাড় আর অ্যাল্পাইনের প্রাচুর্য। অতএব পহেলগাঁও গেলে, শেষনাগ লেক ঘুরে আসতে ভুলবেন না কিন্তু।