Uttar Pradesh: ফের লক্ষাধিক প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলল অযোধ্যা! উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী
দীপাবলি হল অযোধ্যার অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় উত্সব। কাহিনি অনুযায়ী, ১৪ বছর পর বনবাস থেকে অযোধ্যায় শ্রীরাম ফিরে আসেন। সেইদিন প্রত্যেক প্রজা খুশি ও আনন্দ প্রকাশের জন্য নিজের বাড়ি আলো দিয়ে সাজান।
দিওয়ালির দিন রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম তুলল উত্তরপ্রদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র অযোধ্যা। এ বছর দীপাবলির দিন প্রায় ৯ লক্ষেরও বেশি প্রদীপের আলো সাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লে অযোধ্য়া। গত ৩ নভেম্বর, উত্তর প্রদেশ সরকার ড. রাম মনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পর্যটন বিভাগ দীপোৎসব ২০২১-এর মধ্য দিয়ে বিশ্বরেকর্ডে গড়েছে। শো চলাকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো , ভিয়েতনাম ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালেও বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল অযোধ্যায়। সেবার ৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়েছিল এই পবিত্র স্থান। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলয এই বছর সরযূ নদীর ঘাটে প্রায় ৯.৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। নিজের রেকর্ড ভেঙে ফের বিশ্বদরবারে রেকর্ড গড়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী। শুধু তাই নয়, অযোধ্যার বিভিন্ন স্থানে আলাদা আলাদাভাবে ৩ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ প্রজ্জ্বল করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দীপাবলি হল অযোধ্যার অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় উত্সব। কাহিনি অনুযায়ী, ১৪ বছর পর বনবাস থেকে অযোধ্যায় শ্রীরাম ফিরে আসেন। সেইদিন প্রত্যেক প্রজা খুশি ও আনন্দ প্রকাশের জন্য নিজের বাড়ি আলো দিয়ে সাজান। সেই রীতি এখনও অব্যাহত। অযোধ্যার দীপোত্সব সারাদেশের মানুষকেই আকৃষ্ট করে। আলোর উত্সব উপলক্ষ্যে এখানে বেশ কয়েকটি আকর্ষণী. অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। লোকশিল্পীদের সমাবেশ, সরযূ নদী আরতি. থ্রিডি হলোগ্রাফিক শো, লেজার শো ইত্যাদি। তবে এখানে রামলীলাই প্রধান আকর্ষণ বলে মনে করা হয়।
রাম কি পাইদির ৩২টি ঘাটে মানে. সরযূ নদীর তীর বরাবর ঘাটগুলিকে প্রদীপ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে আলোকময় করে তোলা হয়েছিল। রাম কি পাইদির পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রাস্তা ও মন্দিরগুলিকে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকময় করে তোলা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য রাজ্যের মুথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে অযোধ্য়া একটি সুবিশাল রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। আর সেই নির্মাণকাজ কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি ওই দিন আরও জানিয়েছেন, রামমন্দির নির্মাণের পরে, অযোধ্যা বিশ্বের সেরা ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক শহর হিসেবে গণ্য করা হবে। অন্যদিকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: Uttarakhand: শীতের মরসুমে উত্তরাখণ্ডে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে? ঘুরে আসুন এই অফবিট জায়গাগুলিতে