মাতৃ দিবসে মায়ের টোটকা, করোনা আবহে সুস্থ থাকতে রোজ খান ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ হলুদ-দুধ

খুব গরম যেমন খাওয়া উচিত নয়, তেমনই হলুদ-দুধ কখনই ঠাণ্ডা করে খাবেন না।

মাতৃ দিবসে মায়ের টোটকা, করোনা আবহে সুস্থ থাকতে রোজ খান 'ইমিউনিটি বুস্টার' হলুদ-দুধ
অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও এই পানীয় খুবই উপকারি।
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 2:18 PM

হলুদ-দুধের কথা ছোটবেলা থেকে প্রায় সকলেই নিজেদের বাড়িতে মা-ঠাকুমার কাছে শুনেছেন। গরম দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে এই টোটকা। আর সারা দেশে যখন করোনার মতো মহামারীর প্রকোপ চলছে, সেই সময় এই পানীয় নিঃসন্দেহে আপনার শরীরে ভাল ভাবে কাজ করবে।

হলুদ দুধের হাজার গুণ-

১। হলুদ হল আসলে অ্যান্টিসেপটিক। তাই বিভিন্ন কাটা-ছেঁড়াতেও হলুদ বাটা লাগানো হয়। আর দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেম সুদৃঢ় হয়।

২। হলুদ-দুধ খেলে বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জি আপনার থেকে শত হস্ত দূরে থাকবে। শুধু তাই নয়, যাঁদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে, সারা বছর সর্দি-কাশিতে কষ্ট পান, তাঁদের ক্ষেত্রেও অব্যর্থ এই হলুদ মেশানো গরম দুধ।

এমনিতেই এই করোনার দাপটে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করার বার্তা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি যাঁদের সর্দি-কাশির ধাত রয়েছে, তাঁদেরকেও সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন যদি একগ্লাস হলুদ মেশানো গরম দুধ আপনি খেতে পারেন, তাহলে উপকারই পাবেন।

আরও পড়ুন- চিকেন কাবসা: আরবের এই মশলাদার খাবারের রেসিপি শিখে নিন

কীভাবে তৈরি করবেন হলুদ-দুধ?

প্রথমে ভাল করে দুধ জ্বাল দিয়ে নিন। এবার গরম দুধের মধ্যে হলুদ এবং দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তার সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ আর মধুও মেশাতে পারেন। এবার কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন ওই পানীয়। তারপর খেয়ে নিতে পারবেন। খুব গরম যেমন খাওয়া উচিত নয়, তেমনই হলুদ-দুধ কখনই ঠাণ্ডা করে খাবেন না। মধুর বদলে আপনি গুড় বা চিনিও ব্যবহার করতে পারে। তবে চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ ভাল নয়। তাই মিষ্টি স্বাদের জন্য গুড় বা মধুই ব্যবহার করুন। বাড়িতে যদি কেসর থাকে, তাহলে এই হলুদ-দুধে কেসরও মেশাতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও এই পানীয় খুবই উপকারি।