চটজলদি ব্রণ হঠাতে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন, জানেন কী ভুল করছেন?
দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় সমস্যা হল ব্রণ। যতই যা করা হোক না কেন, কখনই পুরোপুরিভাবে ব্রণ সারানো যায় না। চিরদিনের মতো ব্রণ তাড়াতে টুথপেস্টের বিকল্প কিছু নেই।
গরম জল, লেবুর রস দিয়ে ত্বক পরিস্কার করেন অনেকেই। নামী-দামি নানান ব্র্যান্ডের লোশন, ফেসওয়াশ ব্যবহার করেও মুখের মধ্যে গজিয়ে ওঠা ফুসকুড়ি, ব্রণ দূর করতে পারছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সমস্যার জন্য অনেক টোটকা ব্যবহারের ভিডিয়ো ও ছবি পোস্ট করে থাকেন অনেকে। সেখানে ব্রণ বা ফুসকুড়ির উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে দেন। কোনও কিছু চিন্তাভাবনা ছাড়াই ত্বকের যত্ন নিলে মারাত্মকরকমের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ব্রণ দূর করতে টুথপেস্ট একেবারেই নয়
টুথপেস্টে থাকে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক।হঠাত্ করে ব্রণ তৈরি হলে বা দাগ দূর করতে টুথপেস্টের কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু টুথপেস্ট ব্যবহার করলে মেলানিনের বেশ ব্যবহারের ফলে ত্বকের রঙ পাল্টে যেতে পারে। এমনকি কালো দাগও হয়ে যেতে পারে। টুথপেস্টে মিন্ট থাকে, যার কারণে ত্বকের জ্বালাভাব তৈরি হয়। কালোছোপও দেখা যায়। চটজলদি সমাধান পেতে বহু বলিউড অভিনেত্রীরাও একই উপায় খোঁজেন।
আরও পড়ুন- নিতম্বের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন কী কী উপায়ে? জেনে নিন…
চিকিত্সকদের মতে, দাঁত পরিস্কার করার জন্যই টুথপেস্ট তৈরি করা হয়েছে। মুখের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য নয়।, তাই আপনার টুথপেস্টে থাকা রাসায়নিকগুলি মুক্তোর মতো সাদা দাঁত করার কাজ করে। টুথপেস্টের মাধ্যমে দাঁতই সুরক্ষিত থাকে। ত্বকের জন্য এমন শক্তিশালী রাসায়নিক মোটেই কার্যকরী নয়। টুথপেস্টের মধ্যে একটি বেসিক পিএইচ স্তর থাকে। যা ত্বকের উপর লাগালে জ্বালাভাব তৈরি হয়। টুথপেস্টের মধ্যে প্রাক-তিক অ্যাসিডিক পিএইচ থাকে। খুব বেশি বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
এছাড়া টুথপেস্টের কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। হিতে বিপরীত হয়ে মুখের মধ্যে আরও বেশি ব্রণ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আরও পড়ুন- মাত্র ২ সপ্তাহেই মুখের তিল-আঁচিল থেকে রেহাই পান এই ৫ ঘরোয়া টোটকায়!
সোডিয়াম লরিল সালফেটও থাকে টুথপেস্টের মধ্যে। এর কারণে ত্বকের উপর কালো দাগ তৈরি হয়।