অ্যানিমিয়া, হাঁটুর ব্যথা, কাশি, বুকে কফ জমা এসব সমস্যা ঘরে ঘরে সারাবছর লেগেই থাকে। সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে একাধিক রোগ অসুখ দূরে রাখতে ভূমিকা রয়েছে তাল মিছরির।
পেটের সমস্যার জন্যেও কিন্তু খুব উপকারী এই তাল মিছরি। এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি, তাই এর মধ্যে থাকা চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। ছোটবেলায় বাচ্চাদের কিন্তু খাওয়ানো হয় তাল মিছরি।
গরমের দিনে রোজ সকালে তাল মিছরি, মৌরি ভিজিয়ে যদি শরবত খাওয়া হয় তাহলে পেট ঠান্ডা থাকে। হজম ঠিকমতো হয়। শরীর ঠান্ডা রাখতেও এই শরবতের কোনও জুড়ি নেই।
তালমিছরিতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। থাকে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ ও বি১২। যার ফলে সর্দি-কাশি গলাব্যথা সবেতেই ব্যবহার করা হয় এই তালমিছরি।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে এই মিছরির। আজকাল অ্যাজমা, বুকে কফ বসে যাওয়ার সমস্যা, ঠান্ডা লাগার ধাত অনেকেরই রয়েছে। এদের জন্য কিন্তু খুব ভাল হল মিছরি। গরম জলে আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, মিছরি দিয়ে ফুটিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে।
একটানা যদি কফ কাশি লেগে থাকে তাহলে বাসক পাতার সঙ্গে এই তালমিছরি ফুটিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও তুলসি পাতা, তালমিছরি একসঙ্গে ফুটিয়ে ছেঁকে খান। এতে গলাও আরাম পাবে আর জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসবে।
বয়স বাড়লে সুগারের সমস্যা তো হয়ই সেই সঙ্গে থাকে হাঁটু ব্যথা। এক্ষেত্রেও কিন্তু ভাল কাজ করে মিছরি। তালমিছরির মধ্যে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম- যা হাড়ের গঠনে খুব ভাল কাজ করে।
দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তালমিছরির। বাদাম, মৌরি, তালমিছরি, গোলমরিচ একসঙ্গে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।