যতই ভাত খেলে ওজন বাড়ুক, ডায়াবেটিস আসুক কিংবা বন্ধু মহলে খোরাকের স্বীকার হতে হোক না কেন- ভাত ছাড়া বাঙালি চলতে পারে না। আর তাই বরফের দেশে গিয়েও মাছ-ভাতের খোঁজ চালায় বাঙালি। আমাদের রাজ্যে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়। আর তাই কৃষিপ্রধান দেশ ভারতে প্রধান ভরসা হল এই চাল।
যে কারণে অধিকাংশেরই মনে হয় ভাত না খেলে পেট ভরে না। তা যে ভাত হোক, বিরিয়ানি বা পোলাও। চাউমিনের সঙ্গে লড়াইয়ে বরাবরই এগিয়ে রাইস।
তবে ভাতের কিন্তু একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। রসনা তৃপ্তির মাধ্যমে শরীরে বেশি পরিমাণ ক্যালোরি যায় ঠিকই। তবে ভাতের মধ্যে থাকে আয়রন, সোডিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ৬, ক্যালশিয়াম, ফাইবার আর কিছুটা পরিমাণে ফ্যাট।
আয়েষ করে ভাত খেলে যেমন ওজন বাড়ে তেমনই কিন্তু আসতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যাও। তবে ভাত খেলেই যে সুগার বাড়ে কিংবা ওজমন বাড়ে এমন কিন্তু নয়। আজকাল সব ডায়াটেশিয়ানরাও ভাত খাওয়ার কথা বলছেন। তবে মেপে খেতে হবে। সাদা ভাতের থেকে কিন্তু ভাল ব্রাউন রাইস।
ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে মস্ত বড় গলদ হল আমরা পরিমাণ বুঝে খাই না। প্রয়োজনের অতিরুক্ত খেয়ে ফেলি। পছন্দের ডাল, মাছ, তরকারি থাকলে তো কথাই নেই। আর এই কারণেই ভাত খেলে আলসেমি আসে। ওজন বেড়ে যায়। রাতে ভাত খেলে ঘুম ভাল হয় ঠিকই কিন্তু দিনের শেষে অনেকটা বেশি পরিমাণ ক্যালোরি যায় শরীরে। তাই ভাত খেলে মেপে খান। দু বেলা ভাত না খাওয়ার চেষ্টা করুন।