২০০১ সালল থেকেই এই ১ জুন দিনটি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দুগ্ধ শিল্প এবং দুগ্ধ প্রকল্পের গুরুত্ব বাড়াতেই বিশেষ এই দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতে মহিষ আর গরুর দুধেরই বেশি চল রয়েছে। দুধ থেকে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন-ডি এর মত পুষ্টি পাওয়া যায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরুর তুলনায় ছাগলের দুধেই পুষ্টি বেশি। এমনকী আমেরিকাতে এই ছাগলের দুধেরই প্রচলনও বেশি। সেই সঙ্গে ছাগলের দুধ শরীরে প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।
ফুড ডেটা সেন্ট্রালের তরফ থেকে যেমন বলা হয়েছে ১০০ মিলি গরুর দুধে যদি ২.২৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে তাহলে ছাগলের দুধে ৩.৩৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সেই সঙ্গে ছাগলের দুধে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বেশি।
নিয়মিত ভাবে ছাগলের দুধ খেলে অস্টিওপোরেসিস, ঘন ঘন সংক্রমণ, হাত-পায়ের অসাড়তা, দুর্বলতা, ডেঙ্গি এসবের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ছাগলের দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারলেই সবচাইতে ভাল।
গোরুর দুধে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ছাড়া ভিটামিন এ অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের বিকাশের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ছাগলের দুধে ভিটামিন ডিও তুলনায় অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়াও তা মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হাড় গঠনের জন্য জরুরি এই ভিটামিন ডি। মহিষের দুধের সমান পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে ছাগলের দুধে।
ছাগলের দুধ গরুর দুধের থেকে ভারী। সেই সঙ্গে পুষ্টি উপাদানও অনেক বেশি। তাই মন্যাঙ্গো নিউট্রিয়েন্টস পেতে ছাগলের দুধ খেতে পারেন।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ছাগলের দুধ রোজ খাওয়া ঠুক নয়। কারণ ছাগলের দুধ হজম করে সমস্যা হয়। কারণ তা গোরুর দুধের থেকে অনেকটাই ভারী।