সারা বছরই দই খাওয়া কিন্তু ভাল। কারণ দই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দইয়ের মধ্যে আছে প্রচুর উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২ ইত্যাদি। আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। যে সব কারণে দই কিন্তু খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। দইয়ের সঙ্গে শসা, বেদানা, আপেল, আঙুর মিশিয়ে অনেকেই খান। কিন্তু এই কয়েকটি খাবার কখনও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না।
শসা আর বুন্দির রায়তা বানিয়ে খেলেও কিন্তু তার মধ্যে পেঁয়াজ দেবেন না। এটি মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। দই যেমন শরীরকে ঠান্ডা করে তেমনই কিন্তু পেঁয়াজ শরীরকে গরম রাখে। আর এই দই-পেঁয়াজ একসঙ্গে খেলে সেখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যা, একজিমা এসব ত্বকের নানা সমস্যা আসে।
আম আর দই খেতে কিন্তু বেশ লাগে। কিন্তু শরীরের জন্য যে তা ভাল নয় তা কি জানতেন? আম আর দই একসঙ্গে খেলে শরীর অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। আর সেখান থেকে কিন্তু ত্বকের সমস্যাও হয়।
দই মাছ খেতে আমাদের সবার তো বেশ লাগে। কিন্তু টক দই বা মিষ্টি দই আর মাছ কিন্তু একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ উদ্ভিজ প্রোটিন ও প্রাণীজ প্রোটিন একসঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা হয়। পাকস্থলী ঠিকমতে হজম করাতে পারে না। এমনকী দুধ আর মাছও একসঙ্গে খাওয়া ঠিক না।
রায়তা কিংবা টকদই দিয়ে পরোটা অনেকেই খান। কিন্তু এই ভাবে পরোটা খেলে গ্যাস হতে পারে। হজমের সমস্যা হয়। এমনকী পরোটার সঙ্গে কোনও রকম তেলের খাবার বা লস্যি খাবেন না। এতে প্রচুর ঘুম পায়।
দুধ আর দই একসঙ্গে খাবেন না। এতে হজমের খুবই সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলেরও আশহ্কা কিন্তু থেকে যায়।