AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Puri Rath Yatra: পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত! উল্টো রথের আগেই রথের চাকায় ফাটল ঘিরে তুলকালাম পুরী

Rath Yatra 2022: জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষের চাকাতেও ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেই সময় লোহার পাত লাগিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে সেই চাকা পাল্টে দেওয়া হয়।

Puri Rath Yatra: পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত! উল্টো রথের আগেই রথের চাকায় ফাটল ঘিরে তুলকালাম পুরী
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 9:11 AM
Share

গত শুক্রবার ছিল রথযাত্রা (Rath Yatra 2022)। আগামী শনিবার উল্টোরথ। তার মাঝেই চরম বিপত্তি দেখা গেল পুরীর রথে (Puri Rath)। জানা গিয়েছে, বলরাম ও শুভদ্রার রথের চাকায় ফাটল দেখা গিয়েছে। রথযাত্রা ঘিরে এবার পুরীতে বেশ অশান্তি, বিপত্তি দেখা গিয়েছে। রথযাত্রার পরেরদিনই গুন্ডিচা মন্দিরে (Gundicha Temple) অসংখ্য উনুন ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এবার রথের চাকায় ফাটল দেখা দেওয়ায় অমঙ্গলজনক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন ভক্ত ও অনুগামীরা। মঙ্গলবার রথযাত্রা উপলক্ষ্যে দক্ষিণা মোদা নামে এক রীতি পালন করা হয় জগন্নাথ ধামে (Jaganath Temple)। এর আগে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার তিনটি রথ পরীক্ষা করছিলেন মন্দিরের সেবায়েতরা। সেইসময় সেবায়েতদের নজরে পড়ে রথের চাকায় চিড় ধরেছে।

জানা গিয়েছে, মন্দিরের পর্যবেক্ষণকারী দল বলরামের রথ তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ দর্পদলনের চাকায় ফাটল দেখতে পান। বলরামের ‘তালধ্বজ’ রথের ‘পিডিনাহাকা’ চাকা এবং সুভদ্রার ‘দর্পদলনা’ রথের ‘বদাউচুলা’ চাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে ফাটল মেরামতির জন্য রথের চাকা দুটিতে লোহার পাত বসিয়ে মেয়ামতি করা হবে। ওড়িশা সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগের তরফে এই মেরামতির কাজ করা হবে। উলটোরথের আগে এই মেরামতির কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ত দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ওই দুই চাকায় লোহার পাত বসিয়ে মেরামত করা হবে। প্রসঙ্গত, এবছর রথযাত্রার আগে রথের নির্মাণের সময় দেখা যায়, জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষের চাকাতেও ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেই সময় লোহার পাত লাগিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে সেই চাকা পাল্টে দেওয়া হয়। ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসবের পরই এই ঘটনা ‘অমঙ্গল’-এর বার্তা বয়ে আনছে বলে মনে করছেন ভক্তরা।

প্রসঙ্গত, বাংলা আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথ উৎসব হয়ে থাকে। এই দিন দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে গুন্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ। সেখান থেকে সাতদিন পর নিজ মন্দিরে ফিরে আসেন। গুন্ডিচা মন্দির ভ্রমণকেই আবার মাসির বাড়ি যাওয়া মনে করেন অনেকে। পুরাবিদেরা বলেন, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রীই ছিলেন গুণ্ডিচা। এটি শ্রীজগন্নাথদেবের মূল মন্দির তথা “শ্রীমন্দির”-এর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মন্দিরটি একটি সুন্দর বাগানের মাঝে অবস্থিত, যা জগন্নাথদেবের বাগানবাড়ী বা ঈশ্বরের গ্রীষ্মকালীন বাগান ‘অপগম’ নামেও পরিচিত। রথযাত্রা শুরু হওয়ার প্রথম দিন আলাদা আলাদা রথে চড়িয়ে দেবমূর্তি তিনটি মূল মন্দির থেকে গুণ্ডিচা মন্দিরে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এটিই জগন্নাথ পুরী বা মাহেশ্বরী পুরীর বিশ্বচর্চিত বিখ্যাত রথযাত্রা। প্রথম দিনে মূর্তি তিনটি রথেই থাকে এবং রথযাত্রার দ্বিতীয় দিন প্রথা মতো তাদের গুণ্ডিচা মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়। তারা প্রবেশের পর থেকে আগামী সাতদিন যাবৎ গুণ্ডিচা মন্দিরেই অবস্থান করেন।