Viswakarma Puja 2021: বিশ্বকর্মা পুজোর শুভ সময় কখন? দেবশিল্পীর ‘বিস্ময়কর’ নির্মাণ কোনগুলি, জেনে নিন
পশ্চিমবঙ্গে স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন।
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ শুরু। প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখেই বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিনই এই দেবশিল্পীকে আরাধনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই কলকারখানা থেকে শুরু করে নির্মাণশিল্প শুরু করে লাইট-মাইক ও মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকানে এখন সাজ সাজ রব।
শুভ সময়
শুক্রবার সকাল ৬টা ৭ মিনিটে শুরু হবে বিশ্বকর্মা পুজোর সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ। বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণ বলতে যা বোঝায় সেই সময় শুরু হবে রাত ১০টা ২০ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে। পুজোর সময় স্থায়ী হবে ১১টা ৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
রাশির উপর প্রভাব
সাধারণত, তিথি ও পুজোর সময় নির্ধারণ হয় চন্দ্রের গতি অনুযায়ী। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজো নির্ধারণ হয় সূর্যের গতি অনুযায়ী। বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২৯ মিনিটে শুরু হবে কন্যা সংক্রান্তি। রাহুকাল শুরু হবে শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে। রাহুকাল শেষ হবে ১২টা ১৫ মিনিটে।
‘বিস্ময়কর’ নির্মাণ
পৌরাণিক মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা গড়ে দিয়েছিলেন কারিগরদের দেবতা বিশ্বকর্মাই। প্রচলিত রয়েছে, পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরও বিশ্বকর্মার হাতে গড়া হয়েছিল। এ ছাড়াও তালিকা দীর্ঘ। বলা হয়, ভগবান শিবের ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, রাবণের পুষ্পক বিমান এবং দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্র, কুবের এর অস্ত্র, কার্তিকেয়র শক্তি- এ সবই বিশ্বকর্মারই গড়া। ঋগ্বেদ অনুযায়ী, তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। উক্ত গ্রন্থে তাঁকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীর নির্মাতা। তিনি বিশ্বভুবন নির্মাণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা বিহার ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকে এই পুজো সাড়ম্বরে পালন করা হয়।