AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tilak Benefits: কপালে তিলক টানার গুণে জীবনে ঘটে যেতে পারে মির‍্যাকল! রইল অবাক করা তথ্য

Astro Benefits: কপালে তিলক লাগানো হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ আচার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই তিলক টানা ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

Tilak Benefits: কপালে তিলক টানার গুণে জীবনে ঘটে যেতে পারে মির‍্যাকল! রইল অবাক করা তথ্য
| Edited By: | Updated on: May 06, 2023 | 5:37 PM
Share

হিন্দু ধর্মে কপালে তিলক লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি কপালে লাগানো একটি ছোট চিহ্ন, যা পূজা বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রয়োগ করা হয়। তিলক লাগানোর মূল উদ্দেশ্য হল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমস্ত মানুষ স্বীকৃতি পায় যে তারা একটি ধর্মের অংশ। এটি আরও নির্দেশ করে যে ব্যক্তিটি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারে জীবনযাপন করতে চায়। তিলক লাগানোর অর্থ হল যে ব্যক্তি সেই ধর্মের দেবদেবী এবং তাদের কৃপায় বিশ্বাস করে। পাশাপাশি, তিলক টানার ফলে প্রভুর শক্তি এবং আশীর্বাদ পাওয়ার একটি উপায় বলে মনে করা হয়। এই কারণেই কপালে তিলক লাগানো হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ আচার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই তিলক টানা ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

হিন্দু ধর্মে কপালে তিলক লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। একই সময়ে, এর আধ্যাত্মিক অর্থ খুব গভীর, যা বোঝা কিছুটা কঠিন হতে পারে। হিন্দু ধর্মে তিলক টানাকে শুভ বলে মনে করা হয়। একজন ব্যক্তিকে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতার অনুভূতি দেয়। একটি রূপ যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার আত্মাকে বাইরের জগত থেকে আলাদা করে এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ঘোষণা করে।

তিলকে ব্যবহৃত রংগুলিরও নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। যেমন- শ্রীবৎস বা ভগবান বিষ্ণুর চক্রের প্রতীক হিসেবে তিলকে লাল বা কেশর রঙ ব্যবহার করা হয়। যেখানে শিবের তিলকে ভস্ম ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, গোরোচন, কেশর বা লাল রঙের তিলকও প্রয়োগ করা হয়। হিন্দুধর্মে তিলক প্রয়োগ ঈশ্বরের কর্তৃত্বের প্রতীক, যা একজন ব্যক্তিকে আধ্যাত্মিক এবং ঈশ্বরের কাছাকাছি অনুভব করে।

হিন্দুধর্মে, কপালে তিলক লাগানো ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং ব্যক্তিত্বের উপরও প্রভাব ফেলে। এই তিলক ব্যক্তির স্বভাব ও ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, তিলক লাগানো একজন ব্যক্তিকে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তুষ্ট করে। এছাড়া তিলক লাগালে ব্যক্তির মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায় ও তাকে আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায়।

যদি ব্যক্তিত্বের দিক থেকে দেখা যায়, তিলক ব্যক্তির স্বতন্ত্র পরিচয় উন্নত করে। তদ্ব্যতীত, তিলক প্রয়োগ করা একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের চিন্তাভাবনা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করে। তাই কপালে তিলক লাগানো হিন্দুধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের মাধ্যম।

তিলক ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত বিভিন্ন প্রতীক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে আধ্যাত্মিক, সামাজিক- শারীরিক সুবিধা দেয়। কপালে তিলক লাগালে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থায়িত্ব পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয় যে তিলক লাগালে মস্তিষ্কের একাগ্রতা বাড়ে, মন শান্ত হয়। এর মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পান ভক্তরা।