Maha Sasthi 2022: দেবীর বোধন দিয়েই শুরু হল বাঙালির প্রাণের উত্‍সব! দুর্গাষষ্ঠী ও বোধনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব কী?

Durga Puja 2022: প্রথমে দেবীর মুখ উন্মোচন করে ষষ্ঠীর পুজো শুরু হয়। তারপর হয় বোধন। এই বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্রত করা। বোধনের মাধ্যমেই দশভুজাকে আবাহন করা হয় মর্ত্যে।

Maha Sasthi 2022: দেবীর বোধন দিয়েই শুরু হল বাঙালির প্রাণের উত্‍সব! দুর্গাষষ্ঠী ও বোধনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব কী?
২০'র পল্লী সার্বজনীন দূর্গা উৎসব কমিটি, ছবি তুলেছেন গৌতম রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 10:12 AM

শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির প্রাণের উত্‍সব। বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে সবথেকে বড় পুজো হল এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। আজ মহাষষ্ঠী (Maha Sasthi)। ঢাকের বাদ্যি, কাঁসরের ঘণ্টা, উলুর ধ্বনি, শঙ্খের আওয়াজে চারিদিন একেবারে মুখরিত, চঞ্চল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। ঝলঝকে এক সকাল দিয়ে পুজো হয়েছে শুরু। শাস্ত্রমতে আজকের দিনেই দেবী দুর্গা (Goddess Durga) কৈলাশের যাত্রা শেষ করে সপরিবারে মর্তে আগমন করেন।

মহাষষ্ঠীতে দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় পুজো। পৌরাণিক কাহিনি মতে, মহাষষ্ঠীর দিনে মহামায়া লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের হাত ধরে বাপের বাড়িতে আগমন করেন। এই দিন থেকেই শুরু পুজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান। প্রথমে দেবীর মুখ উন্মোচন করে ষষ্ঠীর পুজো শুরু হয়। তারপর হয় বোধন। এই বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্রত করা। বোধনের মাধ্যমেই দশভুজাকে আবাহন করা হয় মর্ত্যে। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই চলে তার প্রক্রিয়া। এরপর নিয়ম-কানুন মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে দেবীর আরাধনা। এদিন বোধনের মাধ্যমে সকলের প্রার্থনা, এই পাঁচদিন কোনও রকম বাধা-বিঘ্ন না আসে। একটি তামার পাত্রে করে গঙ্গা থেকে জল পূর্ণ করে মণ্ডপের এককোণে স্থাপন করা হয়। সেখানেই চলে দুর্গা ও চণ্ডীর আরাধনা। তারপর শুরু হয় বোধন। তারপর একে একে অধিবাস ও আমন্ত্রণ পর্ব।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠীতে দেবীর ষষ্ঠী রূপ কাত্যায়নীর আরাধনা করা হয়। নবরাত্রিতে দেবীর নয় রূপের আরাধনা করা হয়। ষষ্ঠ দিনে কাত্যায়ণী রোগ, শোক, দুঃখ, কষ্ট ও ভয়কে দূর করার আশীর্বাদ প্রদান করেন। জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করতে ও সংসার সুখে সমৃদ্ধশালী করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তারমধ্যে সন্তানের মঙ্গলকামনায় এদিন বাড়ির সব মহিলা ও মায়েরা দুর্গাষষ্ঠী পালন করেন। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবছর মহাষষ্ঠীর তিথি পড়েছে শনিবার রাত ৮টা ৩৫মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, শাক্ত মতে দেবী কাত্যায়নী হলে মহাশক্তির একটি ভয়ংকর রূপ। চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মত যুদ্ধের দেবী হিসেবে পূজিত হোন। নবরাত্রির এই ষষ্ঠ রূপের দেবীর গায়ের রং সূর্যের মত লাল । উমার মতই গায়ে রঙ তার। ষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক পরা তাই শুভ বলে মনে করা হয়।