Satyanarayan Puja: শুধু পূর্ণিমায় নয়, একাদশীর দিনেও সত্যনারায়ণ পুজো করা হয়! রবিবার তিথির শুভ মুহূর্ত ও মাহাত্ম্য জানুন

Ekadashi Tithi and Date: শাস্ত্র অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে জড়িয়ে একটি দিন পুজো করেন অনেকে। চন্দ্র পাক্ষিকের একাদশী তিথি পড়েছে রবিবার। আর এই শুভ যোগে সত্যনারায়ণের পুজো করার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন।

Satyanarayan Puja: শুধু পূর্ণিমায় নয়, একাদশীর দিনেও সত্যনারায়ণ পুজো করা হয়! রবিবার তিথির শুভ মুহূর্ত ও মাহাত্ম্য জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 12:30 PM

বাঙালি গৃহস্থের কাছে সত্যনারায়ণের পুজো হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। বাংলা সাহিত্যেও পাঁচালি নামে একটি ধারা রয়েছে যেখানে সত্যনারায়ণের কথা বা সত্যনারায়ণের পাঁচালির উল্লেখ রয়েছে। এমনকি মধ্যযুগে রচিত স্কন্দ পুরাণেও এই পুজোর বর্ণনা করা হয়েছে। এই পুজো সাধারণত বাড়িতেও অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও সত্যনারায়ণের পুজো করা হয়ে থাকে। পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো করার নিয়ম, তবে কেউ কেউ একাদশী তিথিতেও পুজো করে থাকেন। চন্দ্র পাক্ষিকের একাদশ দিনে এই পুজো করার রীতি রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে জড়িয়ে একটি দিন পুজো করেন অনেকে। চন্দ্র পাক্ষিকের একাদশী তিথি পড়েছে রবিবার। আর এই শুভ যোগে সত্যনারায়ণের পুজো করার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন। অত্যন্ত শুভ যোগে একাদশী তিথি কখন পড়েছে, পুজোর জন্য শুভ মুহূর্ত কখন ও পুজোবিধি জানতে চোখ রাখুন এখানে…

একাদশী তিথি

মার্গশীর্ষের একাদশী, পূর্ণিমন্ত ক্যালেন্ডার অনুসারে, কৃষ্ণপক্ষ বা কার্তিক মাসে অনুষ্ঠিত এই একাদশীকে উত্‍পন্ন একাদশী নামে পরিচিত। এই দিনটিতেই দেবী একাদশীর আবির্ভাবকে চিহ্নিত করে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, উত্‍প্ন্ন একাদশী সাধারণত নভেম্বর মাসে পালিত হয়। এবারেও তা অন্য়থা হয়নি। কারণ এবারেও উত্‍পন্ন একাদশী পালিত হবে আগামী ২০ নভেম্বর।

তিথির সময়

একাদশী তিথি পড়ছে ১৯ নভেম্বর সকালে ১০টা ২৯ মিনিট থেকে। তিথি সমাপ্ত হবে আগামী ২০ নভেম্বর, সকাল ১০.৪১ মিনিট পর্যন্ত।

সত্যনারায়ণ পুজোর সময়

সত্যানারায়ণ পুজোর শুভ মুহূর্তের সময়েই করা উচিত।

ব্রহ্ম মুহূর্ত – ভোর ৫টা ১ মিনিট থেকে ৫টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত।

অভিজিত্‍ মুহূর্ত – সকালে ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।

বিজয়া মুহূর্ত- বেলা ১টা ৫৩ মিনিট থেকে ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত।

গোধূলি মুহূর্ত- বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট থেকে ৫টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত।

সত্যনারায়ণ কে?

ভগবান বিষ্ণুর অপর রূপ, যিনি চিরন্তন সত্যের প্রতীক। হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্বের চার যুগের শেষ কলিযুগে দেবতা নারায়ণ তাঁর ভক্তদের বিশেষ করে যারা সত্যনারায়ণ পূজা করবে এবং এতে অংশ নেবে তাদের কিভাবে সাহায্য করবেন তার সেই প্রতিশ্রুতি এই কথায় বলা হয়। নারায়ণের এই মূর্ত প্রতীক (ভগবান বিষ্ণুর অপর নাম), সত্যের প্রতিনিদিত্ব করেন যিনি, তিনিই ,সত্যনারায়ণ।

সত্যনারায়ণ পুজোর তাত্‍পর্য

এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পাঁচটি কথা, যা পাঁচালি নামে পরিচিত ।আর এই পুজোর জন্য পাঁচালি পড়া হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তবে এই পুজোর জন্য পুরোহিতের সাহায্য নিতে পারেন। আবার পুরোহিত ছাড়াই নিজেই পুজোর ব্য়বস্থা করতে পারেন। পুরোহিতের সাহায্যে সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান নমেনে চলতে পারেন।

– ভক্তদের নিষ্ঠা ও ভক্তির বাইরে কোনও পুজোই সফল হয় না। এই ব্রত পালন ও পুজো করে ভক্তরা সব দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

– পুজোর উদ্দেশ্য হল যতটা সম্ভব মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো, সকলের সঙ্গে পাঁচালি পড়া ও প্রসাদ বিতরণ করা। এই পুজোর পাঠ যতবেশি মানুষ শুনবেন, নৈবেদ্য হিসেবে রাখা প্রসাদ গ্রহণ করবেন, মানবজাতির জন্য তত বেশি মঙ্গল বলে মনে করা হয়।

– পুজো প্রকৃত অর্থে ভক্তের ভক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভক্তের মর্যাদা , স্থান-পাত্র-বর্ণের উপর ভিত্তি করে কোনও পুজো সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

প্রকৃতি অর্থে সত্যনারায়ণের পুজো সামাজিক বাধা-বিপত্তিতে মুছে দেয়। ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাঁচার জন্য, পাশাপাশি থাকার জন্য সত্যনারায়ণের উপাসনা করা মঙ্গলদায়ক।