Sheetal Sasthi: সরস্বতী পুজোর দিন পালিত হয় শীতল ষষ্ঠী, বাংলায় এর গুরুত্ব কী?
Gota Seddho: আজ হল শীতল ষষ্ঠী। সরস্বতী পুজোর মতোই বাংলার মায়েদের মধ্যে এই শীতল ষষ্ঠী খুবই জাগ্রত।
মাঘের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো হয়। গতকাল অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি বঙ্গে ধুমধাম করে পালিত হয়েছে সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজো কেটে গেলেও উৎসবের আবহ এখনও কাটেনি। তাছাড়া আজকের দিনটাও খুব বিশেষ। যদিও সরস্বতী পুজোর পরদিনের গুরুত্ব অনেকেই জানেন না। আজ হল শীতল ষষ্ঠী। সরস্বতী পুজোর মতোই বাংলার মায়েদের মধ্যে এই শীতল ষষ্ঠী খুবই জাগ্রত। এই দিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত করেন মায়েরা। তাছাড়া সরস্বতী পুজোর রাতে যে গোটা সেদ্ধ হয়, তারও নিবিড় যোগ রয়েছে শীতল ষষ্ঠীর সঙ্গে।
শীতল ষষ্ঠীর শুভ দিনে বাড়ির সব মহিলারা সন্তানকে কোলে নিয়ে এক সঙ্গে ব্রত কথা শোনেন। ব্রত পালনের পর হলুদ আর দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে দেন একে-অপরের কপালে। এরপর দুপুরে গোটা সেদ্ধ এবং কুলের অম্বল খাওয়া হয়। বাংলায় শীতল ষষ্ঠী গুরুত্ব রয়েছে। কথায় রয়েছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণের মধ্যে শীতল ষষ্ঠীও রয়েছে। বসন্ত পঞ্চমীর ঠিক পরের দিন এই শীতল ষষ্ঠী পালিত হয়।
এই শীতল ষষ্ঠীর দিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার চল রয়েছে। শীতল ষষ্ঠীর দিন বাড়িতে উনুন জ্বালাতে নেই। এ দিন শিল নোড়াও ব্যবহার করতে নেই। হেঁশেলের যাবতীয় উপাদানকে বিশ্রাম দিতে হয় এ দিন। এই কারণে বসন্ত পঞ্চমী দিন রাতে গোটা সেদ্ধ এবং কুলের আচার রান্না করা হয়। যেহেতু এই মরশুমে নতুন আনাজ ওঠে, তাই সেগুলো দিয়েই এই রান্না করতে হবে। ছয় ধরনের আনাজ ব্যবহার করা হয় গোটা সেদ্ধ তৈরি করতে। কোনও আনাজ কাটা যাবে না। গোটা অবস্থাতেই ব্যবহার করতে হবে। এটাই গোটা সেদ্ধর বিশেষত্ব। আলু, রাঙা আলু, বেগুন, মুগ কড়াই, শিম, কড়াইশুঁটি, শীষ পালং ব্যবহার করে গোটা সেদ্ধ রান্না করা হয়। মশলা বলতে শুধু আদা বাটা, নুন, হলুদ আর লঙ্কা দেওয়া হয়।
যাঁরা শীতল ষষ্ঠী পালন করেন, তাঁদের সরস্বতী পুজোর পরের দিন বাড়ির হেঁশেলে কোনও রান্না করা হয় না। সরস্বতী পুজোর দিন রাতে সব রান্না করে রাখতে হয়। শীতল ষষ্ঠীর দিন ব্রত পালনের পর ঠান্ডা খাবার খেতে হয়। এ দিন বাড়িতে আগুন জ্বালানো যায় না। গরম কোনও খাবার খাওয়া যায় না আজকের দিনে। তাছাড় শীতল ষষ্ঠীর দিন শীল-নোড়ার পুজো করতে হয়। ফুল, প্রসাদ দিয়ে আপনিও আজকে শীল-নোড়ার পুজো করতে পারেন।