First Night of Marriage: বিয়ের পরে প্রথম রাত্রিকে কেন বলে ‘সুহাগ রাত’? ওই রাতে এই ভুলগুলি একদম করবেন না

Suhagrat: এই হল ফুলশয্যা, কখনও বা মধুচন্দ্রিমা। আবার স্থানবিশেষে এই বিশেষ রাত্রির নাম ‘সুহাগরাত’। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ বা দেখাশোনা করে হওয়া বিবাহের ক্ষেত্রে ফুলশয্যা বা সুহাগরাতের তাৎপর্য যথেষ্ট।

First Night of Marriage: বিয়ের পরে প্রথম রাত্রিকে কেন বলে ‘সুহাগ রাত’? ওই রাতে এই ভুলগুলি একদম করবেন না
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 7:06 PM

বাঙালি গেরস্থ বাড়িতে কালরাত্রি (KaalRatri) কাটিয়ে হয় বউভাত। বউভাতের (Indian Wedding) গভীর নিশীথে, যখন সারাদিনের আচার অনুষ্ঠানের ধকল শেষে আত্মীয় পরিজন নিদ্রা গিয়েছে শ্রান্তিতে, তখনও এক ফুলসজ্জিত গৃহকোণে মৃদু রাতের আলোকে জেগে থাকে দু’টি ভিন্ন গাত্ররেখা! অনিঃশেষ জিজ্ঞাসা বুকে যেন জেগে থাকে আদম এবং ইভ! পুরনো সেই গৃহেই পুনরায় ঘটতে চলেছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ফের শুরু হতে চলেছে ভিন্ন এক সৃষ্টি, ভিন্ন এক জগৎ। ঘরের কোণে এই স্ত্রী ও পুরুষ এবার চিনে নেবে একে অপরকে নিবিড়ভাবে। তবু কথোপকথনের প্রথম সেই দিনটির কথাই সারাজীবনের লেখার খাতায় তুলে রাখে নবদম্পতি।

এই হল ফুলশয্যা, কখনও বা মধুচন্দ্রিমা। আবার স্থানবিশেষে এই বিশেষ রাত্রির নাম ‘সুহাগ রাত’। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ বা দেখাশোনা করে হওয়া বিবাহের ক্ষেত্রে ফুলশয্যা বা সুহাগ রাতের তাৎপর্য যথেষ্ট। কারণ দু’জন স্বল্প পরিচিত নর-নারী এই দিনে অবসর পায় একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। এই রাত্রির স্মৃতিই দম্পতির সারাজীবনের পাথেয়। এই একটি রাত্রিই একজন মেয়ের কাছে ‘বর’ সম্বন্ধে ভূষিত পুরষের প্রতি জাগাতে পারে ভরসা, প্রেম, শ্রদ্ধা। অপরদিকে একজন পুরুষের কাছেও তাঁর স্ত্রী হয়ে উঠতে পারেন পরমবন্ধু, শান্তির কুঞ্জ, আশ্রয়। তাই এই বিশেষ রাতে কখনওই একজন নারীর এবং একজন পুরুষের কয়েকটি ভুল কোনও মতেই করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে নষ্ট হতে পারে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস। একটি সম্পর্ক শুরু হওয়া উচিত একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমেই। তাই কতকগুলি ভুল এই রাতে করবেন না—

• ফুলশয্যার রাতে কখনওই একজন স্ত্রী’র তার স্বামীর বিগত সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন করা উচিত নয়। একজন স্বামীরও কখনওই তাঁর স্ত্রী’র কারও সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্ক ছিল কি না তা জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। অতীত সবসময় অতীতই হয়। অতীতকে টানলে মানুষ যেমন বর্তমানকে গভীরভাবে অনুভব করতে পারে না তেমনই ভবিষ্যতকেও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে না।

• একে অপরের পরিবারের সদস্যের ব্যাপারে কোনও কটু কথা বলা উচিত নয়। সম্ভব হলে আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে যে কোনও ধরনের আলোচনা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

• শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কোনওরকম জোরজবরদস্তি করবেন না। সেক্ষেত্রে আপনি ঘৃণ্য এবং কামুক হিসেবে পরিচিত হবেন। এই কারণে আপনাদের মধ্যে রাগারাগিও হয়ে যেতে পারে।

• একে অপরের কোনও রকম ভুল ধরার চেষ্টা করবেন না। এমন করলে সঙ্গী বা সঙ্গিনী দুঃখিত হয়ে উঠবেন। মানসিকভাবে কষ্ট পাবেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়বে। তাই মিষ্টি কথা বলে ভাব জমানোর চেষ্টা করুন।

• কোনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেবেন না।

• ভাল ভাল কথা বলুন। খুদেবেলার গল্প করতে পারেন। নিষ্পাপ সময়ের গল্প আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় করতে পারে। তবে শুধু কথা বললে হবে না, কথা শুনতেও হবে। ভাল জোকস বলতে পারেন। হাসতে হাসতে কখন একে অপরের কাছিকাছি চলে আসবেন বুঝতেও পারবেন না।

• সঙ্গিনী বা সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া ঘনিষ্ঠ হতে যাবেন না। বোঝার চেষ্টা করুন আপনার সান্নিধ্যে সে শঙ্কাহীন বোধ করছে কি না। তাঁর সুবিধে অসুবিধের ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন করুন। মর্জি ছাড়া কোনও সম্পর্ক স্থাপনই কিন্তু পূর্ণতা আনে না। প্রথমে তাই হাত স্পর্শ করুন। হ্যান্ডশেক করেও পরিচয় পর্ব শুরু করতে পারেন। হাত ধরে থাকুন। কথা বলুন। মনে রাখবেন, আগামীদিনে রোগেভোগে, বিপদে এই জোড়া হাতই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সুস্থদিনের ভোরে।

• শারীরিক সংসর্গের সময় উপযুক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিন।

• লাভ মেকিং-এর পর সঙ্গে সঙ্গে বিছানা ছাড়বেন না। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে সামান্য আলাপচারিতা করুন। তাকে স্বচ্ছভাবে মনোভাব ব্যক্ত করার সুযোগ দিন। এভাবেই গড়ে উঠবে শক্তিশালী সম্পর্ক।