চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পেপের সিটির মুখে তুচেলের চেলসি

২০১২ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে (UEFA Champions League Final) উঠেছিল চেলসি। ট্রফিও জিতেছিল। তার পর আর ফাইনালে ওঠা হয়নি চেলসির।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পেপের সিটির মুখে তুচেলের চেলসি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পেপের সিটির মুখে তুচেলের চেলসি
Follow Us:
| Updated on: May 06, 2021 | 1:52 PM

চেলসি-২ : রিয়াল মাদ্রিদ-০ (ওয়ার্নার ২৮, মাউন্ট ৮৫) (সব মিলিয়ে ৩-১ জিতে ফাইনালে চেলসি)

লন্ডন: প্রথমার্ধে করিম বেঞ্জেমা যদি বিপক্ষের গোলমুখ খুলে ফেলতেন, তা হলে হয়তো অন্যরকম দেখাত ছবিটা। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ব্যাপক চাপে পড়ে যেত চেলসি (Chelsea)। সেখান থেকে কি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পা রাখতে পারত? এ সব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার দরকার নেই। এডোয়ার্ড মেন্ডি এত অঙ্কের অবকাশই রাখেননি। বেঞ্জেমার দুটো শটই সেভ করে দিয়েছিলেন চেলসির কিপার। শুরুর ওই রিয়াল (Real Madrid) ঝড় সামলে দ্রুত খেলা দখলে নিয়েছিল থমাস তুচেলের টিম। শেষ পর্যন্ত ২-০ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের টিকিট জোগার করে ফেলল চেলসি। ২৯ মে ইস্তানবুলে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে নামবে তুচেলের টিম।

২০১২ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে (UEFA Champions League Final) উঠেছিল চেলসি। ট্রফিও জিতেছিল। তার পর আর ফাইনালে ওঠা হয়নি চেলসির। দীর্ঘ ন’বছরের খরা কাটিয়ে আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নীল জার্সি। সব মিলিয়ে তৃতীয়বার। তিনটে কারণে এই ফাইনালে ওঠা স্মরণীয় থাকবে। এক, কয়েক সপ্তাহ আগেও সুপার লিগের জোটে নাম লেখানোর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল চেলসি। সাফল্য দিয়ে সেই বিতর্ক কিছুটা হলে মুছতে পারবেন ওয়ার্নার, মাউন্ট, মেন্ডিরা। দুই, তুলেচের ছোঁয়ায় টিমটাই যেন পাল্টে গিয়েছে। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের বদলে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নিয়েছিলেন টিমের। তার পর থেকেই যেন সাফল্যের আকাশে চেলসি। তুচেল নিজেও। এই প্রথম কোনও কোচ পর পর দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নিয়ে গেলেন টিমকে। গতবার পিএসজির পর এবার চেলসি। তিন, এই নিয়ে তৃতীয়বার অল-ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হচ্ছে। ২০০৮ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছিল চেলসি।

২৮ মিনিটে ওয়ার্নারের গোলটাই খেলার গতি আচমকা পাল্টে দিয়েছিল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো টিম ছাড়ার পর থেকে আর সাফল্য নেই রিয়ালের। এ বার তাই জিনেদিন জিদানের টিম মরিয়া হয়ে নেমেছিল ফাইনালের টিকিট জোগার করতে। ঘরের মাঠে, প্রথম দফার ম্যাচে ১-১ হয়েছিল ফল। শুরুতে গোল তুলতে পারলে অ্যাডভান্টেজে থাকত জিদানের টিম। আগ্রাসী ফুটবল শুরু করেও ওয়ার্নারের গোলে ০-১। তার পর কিছুটা হারিয়েই গিয়েছিল রিয়াল। সেখান থেকেই ফের ম্যাচ দখলে নেওয়া চেলসির। রিয়ালকে কার্যত ফালাফালা করে দিচ্ছিলেন কাই হাভার্টজ আর এন’গোলো কান্তে। তুলেচ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টিম ও ছকে ভারসাম্য এনেছেন। রিয়ালের বিরুদ্ধে তারই প্রতিফলন দেখা গেল।

বিরতির পর আরও দাপিয়ে খেলেছে চেলসি। ওই পর্বে গোলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। রিয়াল কিপার কুর্তোয়াঁ কান্তে আর হাভার্টজের দুটো শট সেভ করেন। তবে, খেলার একেবারে শেষ দিকে ম্যাসন মাউন্ট দুরন্ত শটে ২-০ করে ফেলেন। রিয়ালের এই হার কিন্তু করিম বেঞ্জেমা, সর্জিও র্যা মোস, লুকা মদ্রিচদের বিকল্প খোঁজার ইঙ্গিত দিয়ে গেল। ভবিষ্যতের তারকা খুঁজে বের করতে না পারলে রিয়াল-ঐতিহ্য শেষ হতে সময় লাগবে না।

আরও পড়ুন: লিগ কাপের পর ইপিএলে ফিরছে দর্শক