CWG 2022: তাইকোন্ড থেকে ভারোত্তোলন, কমনওয়েলথ গেমস অভিষেকে রুপোজয়ী বিন্দিয়ারানির স্বপ্নের উত্থান

Bindyarani Devi Wins Silver: বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের দ্বিতীয় দিনটা রইল দেশের ভারোত্তলকদের নামে। সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ, সব রঙের পদক এল দেশের ঝুলিতে। সংকেত সরগরের পর দ্বিতীয় ভারোত্তলক হিসেবে রুপোর পদক পেলেন বিন্দিয়ারানি দেবী।

CWG 2022: তাইকোন্ড থেকে ভারোত্তোলন, কমনওয়েলথ গেমস অভিষেকে রুপোজয়ী বিন্দিয়ারানির স্বপ্নের উত্থান
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 11:13 AM

বার্মিংহ্যাম: গোটা দেশ তখন ঘুমের জগতে। কিছুটা নিঃশব্দেই বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) ভারোত্তোলনে পদক জিতে ফেললেন ২৩ বছরের বিন্দিয়ারানি দেবী। তার আগে মীরাবাঈয়ের সোনা, সংকেত, গুরুরাজার রুপো ও ব্রোঞ্জ পদকে সরগরম ছিল দেশের ক্রীড়াজগত। দিন শেষ হওয়ার আগে সেই তালিকায় জুড়ল বিন্দিয়ারানির (Bindyarani Devi) নাম। মেয়েদের ৫৫ কিলো বিভাগে রুপোর পদক (Silver Medal) পেলেন। সবমিলিয়ে মোট চারটি পদক। চানুর দেশের ভারোত্তোলক বিন্দিয়ারানি পদক পেতেই তাঁকে নিয়ে খোঁজ পড়ে গিয়েছে। শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী।

রুপো মেয়ে বিন্দিয়ারানি দেবীর বাড়ি অ্যাথলিটদের আঁতুড়ঘর মণিপুরে। ছোটো থেকেই খেলাধুলো ভালোবাসতেন। বিন্দিয়ার প্রথম ভালোবাসা তাইকোন্ড। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত তাইকোন্ডতে সময় ব্যয় করেছেন। কিন্তু তাইকোন্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে উচ্চতার প্রয়োজন, তার থেকে উচ্চতা কম বিন্দিয়ারানির। ক্রীড়াজগতে নিজের পরিচয় তৈরির স্বপ্নে বুঁদ বিন্দিয়ারানির কাছে তাইকোন্ড ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। অনেকের কাছে পরামর্শ পেয়েছিলেন ভারোত্তোলনের বিষয়ে। তাঁর উচ্চতা ভারোত্তোলনের জন্য আদর্শ।

ব্যাস, সেখান থেকে শুরু ভারোত্তোলক বিন্দিয়ারানি দেবীর যাত্রাপথ। ২০১৬ সালের মালয়েশিয়ার বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকে দশম স্থানে শেষ করেন। প্রথম সাফল্য পেতে অনেকটা সময় লাগে। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেন। সেবছরই কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও আসে সোনার পদক। বিন্দিয়ারানির কোচ ছিলেন অনিতা চানু। যিনি একসময় মীরাবাঈ চানুর কোচ ছিলেন।

কমনওয়েলথে রুপোর পদক

একদা তাইকোন্ড খেলোয়াড় কমনওয়েলথ গেমসে অভিষেকেই পদক জিতলেন। মেয়েদের ভারোত্তোলনের ৫৫ কিলো বিভাগের স্ন্যাচে বিন্দিয়ারানির স্কোর ছিল ৮৬। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগের স্কোর ১১৬। অর্থাৎ, মোট ২০২ কিলো ওজন তোলেন। পদক জেতার পর বললেন, “এটা আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে সেরা পারফরম্যান্স। একটুর জন্য হাত থেকে সোনা ফসকে গিয়েছে। পোডিয়ামের সেন্টারে দাঁড়ানো হল না। পরেরবার আরও ভালো করার চেষ্টা করব।”