Ravichandran Ashwin: ৫০০ উইকেট দেখেই অসুস্থ মা, অশ্বিনের স্ত্রী শোনালেন কঠিন সময়ের গল্প
India vs England: রাজকোট টেস্ট অশ্বিনের ৫০০ উইকেটের সাক্ষী হয়েছিল। এ বার ধরমশালাতে অশ্বিন শততম টেস্ট খেলতে চলছেন। ভারতের জার্সিতে ১০০টা টেস্ট খেলা চারটি খানি কথা নয়। অশ্বিনের এই প্রাপ্তির জন্য ধরমশালা টেস্টের আগে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। হিটম্যানের মতে, কোনও প্রশংসাই অশ্বিনের জন্য যথেষ্ট নয়।
কলকাতা: মাইলস্টোনের পর মাইলস্টোন গড়ে চলেছেন ভারতের সিনিয়র তারকা ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। রাজকোট টেস্ট অশ্বিনের ৫০০ উইকেটের সাক্ষী হয়েছিল। এ বার ধরমশালাতে অশ্বিন শততম টেস্ট খেলতে চলছেন। ভারতের জার্সিতে ১০০টা টেস্ট খেলা চারটি খানি কথা নয়। অশ্বিনের এই প্রাপ্তির জন্য ধরমশালা টেস্টের আগে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। হিটম্যানের মতে, কোনও প্রশংসাই অশ্বিনের জন্য যথেষ্ট নয়। এই সিরিজে অবশ্য অশ্বিনকে নিয়ে একটা সময় বিরাট দুশ্চিন্তায় ছিলেন ভারতের অনুরাগীরা। কারণ, রাজকোট টেস্টের মাঝপথে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁর মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ বার অশ্বিনের টেস্ট কেরিয়ারের মাইলফলক ম্যাচের আগে তাঁর স্ত্রী প্রীতি নারায়ণন জানালেন, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটারকে বাড়িতে আসতে বলা হয়েছিল।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি নারায়ণন বরাবর স্বামীর পাশে দাঁড়ান, ভীষণ সমর্থন করেন। সম্প্রতি প্রীতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক কলামে অশ্বিনের রাজকোট টেস্টের মাঝে বাড়ি ফেরা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। অতীতে তিনি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, জীবনের দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা কাটিয়েছেন তাঁরা। এ বার প্রীতি ওই ৪৮ ঘণ্টার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন। প্রীতি লিখেছেন, ‘তখন রাজকোট টেস্ট চলছিল। আমাদের বাচ্চারা সবেমাত্র স্কুল থেকে ফিরেছিল পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ৫০০তম উইকেট নেয় অশ্বিন। এরপর শুরু হয়ে যায় শুভেচ্ছা বার্তা আসা। অনেকেই ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতে থাকে। সেই সময় হঠাৎ করেই একটা চিৎকার শুনতে পাই। আসলে তখন অশ্বিনের মা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। আমরা বিন্দু মাত্র সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। তখন আমরা ঠিক করি যে অশ্বিনকে ফোন করব না। কারণ রাজকোট থেকে চেন্নাই আসার সরাসরি কোনও বিমান নেই।’
কাকে জানাবেন অশ্বিনের মায়ের অসুস্থতার কথা? এই সব ভাবতে ভাবকেই চেতেশ্বর পূজারাকে ফোন করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি। তাঁর কথায়, ‘তখন আমি ফোন করেছিলাম চেতেশ্বর পূজারাকে। ওই দিন ওর পরিবার খুব সাহায্য করেছিল। এরপর সব কিছু মোটামুটি সামলে নেওয়ার পর অশ্বিনকে ফোন করেছিলাম। চিকিৎসকেরা স্ক্যান করার পর জানান, অশ্বিনকে ডেকে নিতে। সেই সময় তাঁর মায়ের পাশে থাকার জন্য। অশ্বিন ওর মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছিল। এরপর আমি ওকে বলি নিজেকে সামলে নিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ফোন করতে। ওই সময় ও কোনও কথাই বলতে পারছিল না।’
পরবর্তীতে জানা গিয়েছিল বোর্ড অশ্বিনের রাজকোট থেকে চেন্নাইয়ে ফেরার জন্য চাটার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল। প্রীতি যার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় টিমকে। এই প্রসঙ্গে প্রীতি লেখেন, ‘রাহুল ভাই, রোহিত ভাই এবং পুরো টিমকে ও বিসিসিআইকে ধন্যবাদ। বোর্ড ও দলের পক্ষ থেকে সকলে বার বার খোঁজ। অশ্বিন ওই রাতেই চেন্নাই চলে এসেছিল।’
প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁর মা সুস্থ হলে তিনি আবার রাজকোটে ফিরে যান। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখে সকল ক্রিকেট প্রেমীরা প্রশংসায় ভরিয়েছেন অশ্বিনকে। প্রীতি সে কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অশ্বিন মাঝপথে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। যে কারণে পরবর্তীতে রাজকোট টেস্টের মাঝেই ও আবার টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।’