Amit Mishra: মাথায় পরচুল, তবু চল্লিশে চমকে দেওয়া ক্যাচ! কে এই ক্রিকেটার, জানেন?

ছোটখাটো, নাদুসনুদুস চেহারার ক্রিকেটার যে ডাইভ দিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচও নিতে পারেন, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।

Amit Mishra: মাথায় পরচুল, তবু চল্লিশে চমকে দেওয়া ক্যাচ! কে এই ক্রিকেটার, জানেন?
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2023 | 2:19 PM

কলকাতা: জন্ম সালের হিসেবে ধরলে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেয়ে বছর খানেকের ছোট তিনি। কালো ঘন চুল দেখে ভুল করবেন না। এখন পরচুল পরেন। ২০২৩ আইপিএলে যে গুটিকয় চল্লিশ বা তার বেশি বয়সী ক্রিকেটার খেলছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হয়ে বর্তমানে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সদস্য ৪০ বছরের এই অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার। স্পিন জাদুতে বিপক্ষের ব্যাটারকে কাবু করতে জুড়ি নেই। কিন্তু ছোটখাটো, নাদুসনুদুস চেহারার ক্রিকেটার যে ডাইভ দিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচও নিতে পারেন, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। ফিল্ডিংয়ে কোনওকালেই সুনাম নেই অমিতের। শুক্রবার ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG vs SRH)। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের ইনিংসের (IPL 2023) সময় অমিতের নেওয়া ক্যাচ দেখে হতবাক ক্রিকেট সমর্থক থেকে ধারাভাষ্যকাররা। নেটিজেনদের অনুমান, এটাই বোধহয় অভিজ্ঞ লেগ স্পিনারের কেরিয়ারের সেরা ক্যাচ। বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৮তম ওভারের ঘটনা। লখনউয়ের হয়ে বল করছিলেন যশ ঠাকুর। স্ট্রাইকে রাহুল ত্রিপাঠী। পর পর কয়েকটা উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া হায়দরাবাদের ভরসা তখন ত্রিপাঠী। তাঁকে না ফেরালে বিপক্ষকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সফল হবে না। এই পরিস্থিতিতে ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্সার দেন যশ ঠাকুর। রাহুল ত্রিপাঠী আপাট কাট করতে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগেনি। সেইসময় শর্ট থার্ডম্যানের ফিল্ডিং করছিলেন অমিত মিশ্র। দু তিন পা এগিয়ে এসে ক্যাচ ধরার জন্য সামনে ডাইভ দেন তিনি। হাওয়ায় ঝাঁপিয়ে দু’হাতে ক্যাচ ধরেন। অমিতের এই ক্যাচ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। অমিতের দুরন্ত ক্যাচে প্রশংসার বন্যা বইছে নেট দুনিয়ায়।

২০২২ সালের আইপিএলে আনসোল্ড ছিলেন অমিত মিশ্র। চলতি মরসুমে লখনউয়ের হয়ে আইপিএলে খেলা সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে কোনও কসুর রাখছেন না। শুক্রবারের ম্যাচে বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখিয়ে যেমন অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে ক্যাচ নিলেন, তেমনই এক ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রবল চাপের মুখে ফেলে দেন। ১৮তম ওভারের তৃতীয় এবং শেষ বলে ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর এবং আদিল রশিদকে। হায়দরাবাদকে মাত্র ১২১ রানে বেঁধে রাখতে অবদান রাখেন। ম্যাচের পর ক্রুণাল পান্ডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে অমিত বলেছেন, “নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। উইকেট নেওয়ার ক্ষুধা নিজের ভেতরে রেখেছি। এভাবেই খেলে যাব।”