Pitch Curator Death: বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাংলার তরুণ পিচ কিউরেটরের, উঠছে নানা প্রশ্ন

Hooghly District Sports News: অর্পনকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়না তদন্তের পর সন্ধ্যায় ক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয়। ক্লাবের পতাকা ফুল মালা দেওয়া হয়। এরপরই মৃতের পরিবার ও পাড়ার লোকজন দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। ক্লাবের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেও রফা সূত্র মিলছিল না। মানকুন্ডু স্টেশন রোডে ভিড় জমে যায়। চন্দননগর থানার পুলিশ হাজির হয়।

Pitch Curator Death: বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাংলার তরুণ পিচ কিউরেটরের, উঠছে নানা প্রশ্ন
Image Credit source: OWN Arrangement
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2024 | 2:40 AM

হুগলি জেলার মানকুন্ডুর ঘটনা। বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এক পিচ কিউরেটরের। ঘটনার জেরে উত্তাল এলাকা। উঠছে নানা প্রশ্নও। পিচ কিউরেটরকে দিয়ে বিদ্যুতের নানা কাজও করানো হত বলে অভিযোগ। অথচ বাংলা ক্রিকেট সংস্থার থেকে পিচ তৈরি এবং মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শিখেছেন সেই ব্যক্তি। মাত্র ২৬ বছরের পিচ কিউরেটর অর্পণ পালের মৃত্যুতে এলাকায় ক্ষোভ। মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভও চলে। কী হয়েছে ঘটনাটি? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাবে পিচ কিউরেটরের কাজ করতেন অর্পন পাল (২৬)। মানকুন্ডু মিলন নগরের বাসিন্দা অর্পণ। বাংলা ক্রিকেট সংস্থা (সিএবি) থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। গত দশ বছর ধরে ক্লাবের মাঠ পিচ দেখাশোনা করতেন। ক্লাবের মাঠে জেলার ক্রিকেট সহ সিএবির খেলা হয়। মাঝে দু’দিন বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে জল জমেছিল। পাম্প চালিয়ে জল বের করা এবং পিচ প্রস্তুতের কাজ করছিলেন অর্পণ। পাম্প চালিয়ে জল বের করার সময় বিদ্যুতের তার থেকে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন। মাঠে সে সময় আরও একজন কাজ করছিলেন। তিনিই দেখতে পেয়ে ক্লাবে খবর দেন।

অর্পনকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়না তদন্তের পর সন্ধ্যায় ক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয়। ক্লাবের পতাকা ফুল মালা দেওয়া হয়। এরপরই মৃতের পরিবার ও পাড়ার লোকজন দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। ক্লাবের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেও রফা সূত্র মিলছিল না। মানকুন্ডু স্টেশন রোডে ভিড় জমে যায়। চন্দননগর থানার পুলিশ হাজির হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয় দফায় দফায়।

মৃত যুবকের প্রতিবেশি মিঠুন নন্দী বলেন, ‘অর্পন মাঠের পিচ প্রস্তুত থেকে সব কাজ করত। ও ইলেকট্রিকের কাজ জানত না। তাও ওকে দিয়ে ইলেকট্রিকের কাজ করানো হত। বিদ্যুতের কাটা তার জলে পরে থাকায় তা থেকে শর্ট সার্কিট হয়েছে। একটা তরতাজা ছেলে চলে গেল। ক্লাব সম্পাদক ওকে দিয়ে সব কাজ করাতো। অথচ মৃত্যুর পর ওর বাবা মায়ের কী হবে তা ভাবছে না।

পরে ক্লাব সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার বলেন, ‘অর্পন আমাদের মাঠের পিচ দেখাশোনা করত। আমরা ওদের দাবি মেনে এখন দু’লক্ষ টাকা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওর বাবা মাকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দু-জনের মেডিক্লেমও করে দেওয়া হবে।’