প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলছেন পন্থ

ঋদ্ধি-ঋষভের মধ্যে একজনকে বেছে নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেঞ্চুরি করে প্রথম দলে নিজের দাবি পেশ করেছেন ঋষভ। শতরান করে আত্মবিশ্বাসী পন্থ।

প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলছেন পন্থ
অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে ২২ গজে পন্থের দাপট। ছবি সৌজন্যে - টুইটার (বিসিসিআই)
Follow Us:
| Updated on: Dec 14, 2020 | 4:16 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল – ঋদ্ধিমান সাহা না ঋষভ পন্থ? অ্যাডিলেডে প্রথম ম্যাচে কে খেলবেন? এ নিয়ে যখন তুমুল কথা চলছে, তখন গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচের (practice match) দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি (century) করে রীতিমতো আলোচনায় ঢুকে পড়েছেন পন্থ (Pant)। অ্যাডিলেডে, সিরিজের প্রথম টেস্টই দিন-রাতের। পন্থের মারমুখী ৭৩ বলে নট আউট ১০৩ তাঁর পক্ষে যাচ্ছে।

তিনিই অ্যাডিলেডে খেলবেন কিনা, সে প্রসঙ্গে না ঢুকেও পন্থ বলছেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, অনেক ওভার বাকি ছিল। হনুমা বিহারি আর আমি একটা ভালো পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছিলাম। যতটা বেশি সম্ভব ক্রিজে থাকার চেষ্টা করছিলাম। নিজেকে বেশি সময় দেওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল। আর সেটা করতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসটা (confidence) ফিরে পেয়েছি।’

চোটের জন্য সাম্প্রতিক নিজেকে সে ভাবে মেলে ধরতে পারেননি পন্থ। আইপিএলের সময়ও যা প্রভাব ফেলেছিল কিপার-ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্সে। শুধু তাই নয়, ইদানীং সাদা বলের ক্রিকেটেও ফর্মে না থাকার জন্য জায়গা হারাতে হয়েছিল পন্থকে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ ঠিক আগে সেঞ্চুরিটা তাঁকে ছন্দে ফিরিয়েছে, দাবি পন্থের।

আরও পড়ুন – বিরাটকে তাতিও না, স্মিথদের সতর্ক করছেন ফিঞ্চ

দিল্লির ছেলে বলেওছেন, ‘সেঞ্চুরিটা আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রায় একটা মাস অস্ট্রেলিয়াতে আছি। কিন্তু ঘাড়ে চোটের জন্য প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে পারিনি। এই ম্যাচটার দিকে তাই তাকিয়ে ছিলাম।’ একই সঙ্গে জুড়েছেন, ‘প্রথম ইনিংসে কপাল সঙ্গে ছিল না। একটা বাজে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসটাতে তাই নিজেকে যতটা সম্ভব বেশি সময় দিতে চেয়েছিলাম।’

গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচে পুরো টিমই অ্যাডিলেডের কথা ভেবে ব্যাটিংয়ের উপর জোর দিয়েছিল। পন্থ বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা তেমন পারফর্ম করতে পারিনি। অল্প রানে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে উইকেট সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই সেরাটা দিতে পেরেছি। বিশেষ করে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা অনেকটা সময় পেয়েছে নিজেদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য।’