Rohit Sharma: ‘ট্রফি’ ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না রোহিত, ফাইনালের আগে যা কিছু বললেন…
India vs Australia World Cup Final: ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠতেই চারিদিকে কান পাতলে একটাই কথা ২০০৩ এর বদলা। তবে এ সব নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবছেন না রোহিত। সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে অজি অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁদের দলে ৭ জন বিশ্বজয়ী সদস্য রয়েছেন, যদিও ভারতীয় দলেও রয়েছেন বিরাট-অশ্বিনের মতো ক্রিকেটাররা। যাঁরা ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে এ সব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না রোহিত। তাঁর লক্ষ্য একটাই,বিশ্বকাপ জয়।
অভিষেক সেনগুপ্ত
আমেদাবাদ: কাউন্টডাউন শুরু। তৈরি দল । ফাইনাল ম্যাচের আগের বিকেলে সেই চেনা রোহিত শর্মাকেই দেখা গেল। সময় মতো সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন। বাড়তি কোনও উতলা নেই, খুব বেশি চাপে রয়েছেন বলেও মনে হল না। ঠিক যেমন ফাইনাল পরীক্ষার আগে মেধাবী ছেলেপিলেদের খুব একটা পড়তে হয় না। কারণ তারা সবটা সেরে রাখে আগে থেকেই। ভারতীয় দলের ছবিটাও যেন তেমনই। চেনা ভঙ্গীতে একে-একে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠতেই চারিদিকে কান পাতলে একটাই কথা ২০০৩ এর বদলা। তবে এ সব নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবছেন না রোহিত। সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে অজি অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁদের দলে ৭ জন বিশ্বজয়ী সদস্য রয়েছেন, যদিও ভারতীয় দলেও রয়েছেন বিরাট-অশ্বিনের মতো ক্রিকেটাররা। যাঁরা ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে এ সব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না রোহিত। তাঁর লক্ষ্য একটাই,বিশ্বকাপ জয়। দলকেও তাই বুঝিয়েছেন। প্রতিপক্ষ কে তা দেখার দরকার নেই, নিজেদের একশো শতাংশ দিয়ে লড়ে যাও শুধু। এই প্রসঙ্গে আর কী বলছেন রোহিত? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রোহিত যা বললেন তাঁর বিশেষ কিছু অংশ-
- ওরা আট ম্যাচ জিতেছে। যোগ্য় দল হিসেবে ফাইনালে। কমপ্লিট সাইড। আমাদের ফোকাসে, নিজেদের টিম। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবতে চাই না। নিজেদের জন্য কোনটা গুরুত্বপূর্ণ, টিম এবং ব্য়ক্তিগত ভাবে কী করতে হবে, সেটাই একমাত্র ফোকাস।
- ওদের দলে বিশ্বজয়ী সদস্যরা রয়েছে, আমার নজরে সেটা কোনও বাড়তি সুবিধা নয়। ও (প্যাট কামিন্স) কী ভেবে বলছে, বুঝতে পেরেছি। প্লেয়ারদের বর্তমান ফর্ম, আমাদের টিমেও অনেকেই রয়েছে যাঁরা বিশ্বকাপ ফাইনাল না খেললেও এমন অনেক ফাইনাল খেলেছে। বিরাট ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ছিল। অশ্বিন স্কোয়াডে ছিল। অ্যাডভান্টেজ একান্তই কামিন্সের ভাবনা। কারেন্ট ফর্ম নিয়েই ভাবছি।
- সকলের কাছেই বড় মঞ্চ। প্রত্যেকে এই মঞ্চের জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছে। পেশাদার অ্যাথলিটদের কাজই হল, সমস্ত কিছু বাইরে রেখে, মাঠে নিজের দায়িত্ব পালন করা। ফাইনাল, বড় ব্যাপার এসব নিয়ে ভাবনা আটকানো যাবে না। তবে নিজে থেকে যতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটাই শ্রেয়। বরং পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে হবে। কোথায় কেমন শট খেলব, কীরকম বোলিং করব। এসব ভাবতে হবে। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ছোট থেকে ওডিআই বিশ্বকাপের কথা ভেবেই বেড়ে উঠেছি। সমস্ত কিছু সাইডে রেখে টিমের কী প্রয়োজন, সেটা নিয়েই ভাবছি।
- বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলেছে দল। অচেনা প্রতিপক্ষ নয়। সকলেই সকলকে নিয়ে জানে। কার কী ভূমিকা, সেটাই আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা খেলছে, তাদের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনও অবধি সব ঠিকঠাকই রয়েছে। আশা করি কালও সব ঠিকঠাক থাকবে।
- অপশনাল ট্রেনিং, সকলেই নেই। আসলে ম্য়াচের আগে সকলকে মানসিক ভাবে তরতাজা থাকার সুযোগ দিতে চাই। প্রত্যাশা, চাপ, সমালোচনা সবটাই জানি। আমরা ড্রেসিংরুমে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। ম্যাচেও চাপের পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজেছি। প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ভাবে কী ভাবছে, সেটা আমার বোঝার কথা নয়। টিমের অন্দরের ক্ষেত্রে বলতে পারে, প্রত্য়েকেই জানি দেশের হয়ে খেললে এই চাপ থাকবেই। সকলে শুধু সমালোচনা করেছে তা নয়, প্রশংসাও করেছে। আমাদের সবকিছুর জন্য়ই প্রস্তুত থাকতে হবে।