David Warner : এজবাস্টনে হার, রুটের থুতনিতে সজোরে ঘুষি মদ্যপ ওয়ার্নারের!
ইংল্যান্ডের একটি বারে মদ্যপ অবস্থায় জো রুটের মুখে সজোরে ঘুষি মেরেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে।
কলকাতা: অ্যাসেজ মানেই মর্যাদার লড়াই। ক্রিকেটের এই কুলীন যুদ্ধের জন্যই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ছাইদানির লড়াই ঘিরে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্ম হয়েছে তাতে শুধু অ্যাসেজ নয়, ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia) যে কোনও ম্যাচই উত্তেজনাপূর্ণ। ২০২৩ অ্যাসেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট এজবাস্টনে ২ উইকেটে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসদের ‘বাজবল’ তত্ত্বকে উড়িয়ে এজবাস্টনে জয়ধ্বজা উড়িয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। বছর দশেক আগে এই এজবাস্টনে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। হারের পর হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে জো রুটের থুতনিতে সজোরে ঘুষি মেরে বসেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ঘটনাটি কী? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sport–র এই প্রতিবেদনে।
২০১৩ সালের ৯ জুন ইংল্যান্ডের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে হারের পর পানশালাতে যান ডেভিড ওয়ার্নাররা। এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার টিম হোটেলের কাছাকাছি একটি বার ছিল সেটি। ওয়ার্নারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান টিমের কয়েকজন সদস্য ও আইসিসির বেশ কয়েকজন ছিলেন। ওয়ার্নাররা বারে পৌঁছে দেখেন সেখানে আগে থেকেই বসে রয়েছেন বেশ কিছু ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের টিমের মধ্যে ছিলেন জো রুট, স্টুয়ার্ট ব্রড ও ফিন। অজি ওপেনারের চোখ যায় রুটের মাথার দিকে। কারণ মাথায় সবুজ রংয়ের ঝকমকে পরচুলা পরে বসেছিলেন রুট। সেই উইগ পরে কেউ কেউ লাসিথ মালিঙ্গাকে নকল করে মজা করছিলেন। ওয়ার্নারের সহ্যের সীমা পার হয়ে যায় যখন তিনি দেখেন রুট পরচুলাটিকে নিয়ে থুতনিতে পরেছে। তাঁর মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার হাসিম আমলাকে নিয়ে মজা করছেন রুট। রুটের আচরণ বর্ণবিদ্বেষমূলক বলে মনে হয় তাঁর। মদ্যপ অবস্থায় রুটের কাছে গিয়ে পরচুলা থুতনি থেকে সরানোর চেষ্টা করেন তিনি।
যা নিয়ে জোর বচসা শুরু হয়ে যায় ওয়ার্নার ও রুটের মধ্যে। দু’জনই মদের ঘোরে ছিলেন এবং আগ্রাসন চেপে বসেছিল ওয়ার্নারের উপর। রাগের মাথায় রুটের মুখে সজোরে ঘুষি চালিয়ে দেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকিরা দু’জনকে আলাদা করেন। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতেই ওয়ার্নারকে নির্বাসিত করা হয়। রুটকে আঘাত করে পরদিন ক্ষমা চেয়ে মেসেজও করেন। যদিও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সেবছরের জুলাই মাসে অ্যাসেজের প্রথম দুটি টেস্ট জল আর তোয়ালে বয়ে কাটাতে হয় ওয়ার্নারকে।