Manoj Tiwary: মেসি-মনোজ মিলবে? রঞ্জি খেতাব নিয়ে অভিমানী বাংলার ‘ক্যাপ্টেন’ যা বললেন…
Lionel Messi: আর্জেন্টিনা কিংবা মেসি নন। মনোজ তিওয়ারিকে তাতায় বাংলার জার্সি। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন। বরং আর্জেন্টিনা এবং মেসির প্রসঙ্গ শুনে মুচকি হেসে উঠলেন।
কলকাতা : লিওনেল মেসি এবং অবশ্য়ই আর্জেন্টিনার অধরা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কাতারে। বিশ্বকাপ জিতেছে মেসির আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ মিটেছে। মারাদোনার দেশে বিশ্বকাপের অপেক্ষা ছিল দীর্ঘ সময়ের। ২০১৪ সালে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ফাইনালও খেলেছিল আর্জেন্টিনা। যদিও ট্রফি আসেনি। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। বাংলার ক্ষেত্রেও এমন মুহূর্ত এসেছে। কখনও সেমিফাইনাল, আবার কখনও ফাইনালেই দৌড় শেষ। ফাইনালের সাক্ষী রয়েছেন মনোজ তিওয়ারিও। এ বার ঘরের মাঠে ফাইনাল। মেসি যেমন কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে চ্য়াম্পিয়নের ট্রফি জিতেছেন, মনোজ তিওয়ারিও কি ট্রফি জিতে অবসর নিতে পারবেন? কিছুটা যেন অভিমানী শোনাল মনোজকে। ক্রিকেটার হিসেবে ভরসা থাকলেও, ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে সন্দেহ ছিল। কেন বললেন এমন? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
আর্জেন্টিনা কিংবা মেসি নন। মনোজ তিওয়ারিকে তাতায় বাংলার জার্সি। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন। বরং আর্জেন্টিনা এবং মেসির প্রসঙ্গ শুনে মুচকি হেসে উঠলেন। মনোজের কথায়, ‘আর্জেন্টিনা কিংবা মেসির জার্সি থেকে আমরা কোনও প্রেরণা নিচ্ছি না। আমি বা দলের কেউই এই প্রেরণা নিচ্ছি বলে মনে হয় না। আমরা ফুটবলের ফ্য়ান। তবে প্রেরণা বাংলার জার্সি, টুপি, ফ্ল্যাগ। রঞ্জি ট্রফি। এ সব থেকেই প্রেরণা নিচ্ছি। আশা করছি, এই প্রেরণাটা আমাদের ট্রফি তুলতে কাজে লাগবে।’
প্লেয়ার হিসেবে রঞ্জি চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ক্য়াপ্টেন হিসেবে পারবেন কী না, সেই স্বপ্নে ধাক্কা লেগেছিল। এ বার তাঁর নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে ফাইনালে বাংলা। কিছুটা যেন অভিমান ঝরে পড়ল তাঁর কথায়। বলছেন, ‘ক্য়াপ্টেন হিসেবে ভাবিনি, এমন দিন আসতে পারে। প্লেয়ার হিসেবে সবসময়ই ভাবতাম। ছোটবেলা থেকে দেশের এবং রাজ্য় দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। বাংলার হয়েও দীর্ঘদিন ক্য়াপ্টেন্সি করেছি। বাংলাকে একবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিও দিয়েছি। জোনাল টিমের নেতৃত্ব দিয়েও ট্রফি জিতেছি। মনে সেই আত্মবিশ্বাসটা ছিল, আমি নেতৃত্ব দিতে পারি। অভিমন্য়ুকে যখন ক্য়াপ্টেন্সি দেওয়া হল, তখন আশাটা চলে গিয়েছিল যে, ক্য়াপ্টেন হিসেবে হয়তো বাংলাকে ট্রফি দিতে পারব না। প্লেয়ার হিসেবে অভিমন্য়ুর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ওকে গাইড করতাম। ভেবেছিলাম, কোনও না কোনওদিন করে দেখাব। সেই দিনটা হয়তো তিন-চার দিনের মধ্যেই আসছে।’