East Bengal : সূচি নিয়ে ক্ষোভ আর মাঞ্জেরির গরম; ইস্টবেঙ্গলকে এএফসিতে দেখতে চান বিদায়ি কোচ

Super Cup-Stephen Constantine : সুপার কাপ নিয়ে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন আরও যোগ করেন, 'আমার কাছে একটাই পজিটিভ দিক এই টুর্নামেন্টে এএফসি স্লট রয়েছে। এ ছাড়া কোনও গুরুত্ব নেই।'

East Bengal : সূচি নিয়ে ক্ষোভ আর মাঞ্জেরির গরম; ইস্টবেঙ্গলকে এএফসিতে দেখতে চান বিদায়ি কোচ
Image Credit source: East Bengal
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2023 | 5:04 PM

কলকাতা : প্রথম ম্য়াচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। টুর্নামেন্ট জিতলেও পরিস্থিতি বদলানোর সম্ভাবনা নেই। ইস্টবেঙ্গল টিম ম্য়ানেজমেন্ট আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, নতুন মরসুমে কোচ বদল হচ্ছেই। লাল-হলুদ শিবিরে শেষ টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখতে চান স্টিফেন। তবে টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে ক্ষুদ্ধ ইস্টবেঙ্গল কোচ। প্রথমত, মরসুমের শেষে টুর্নামেন্ট কেন, দ্বিতীয়ত মাঠের দূরত্ব। সময় নষ্ট বলেই মত তাঁর। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘আইএসএলে ওড়িশার বিরুদ্ধে দু-বার খেলেছি। যদিও দু-বারই আমাদের হার। প্রথম সাক্ষাৎ আসলে আইএসএলে একেবারে শুরুর দিকে ছিল। আমরা সে অর্থে প্রস্তুত ছিলাম না। দ্বিতীয় লেগে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ হয়েছে। আশা করছি এ বার ফল আমাদের পক্ষেই হবে।’ বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

কিন্তু কেরলের গরম এবং মাঠের দূরত্ব। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সাংবাদিক সম্মলনে স্টিফেনের পাশে ছিল গ্রুপের আর এক দল আইজল এফসি কোচও। তিনিও স্টিফেনের কথায় সম্মতি দেন। স্টিফেনের বক্তব্য, ‘এই টুর্নামেন্টটি পুরো মরসুম ধরে হওয়া উচিত ছিল। আমাদের টিমে তিনটি দল রয়েছে। কঠিন লড়াই হবে।’ দিনে দুটো ম্য়াচ। প্রথম ম্য়াচটি বিকেল ৫টা থেকে। প্রচণ্ড গরমে টিমগুলির সমস্য়া হতে পারে। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্য়াচ রাত সাড়ে ৮টা থেকে। নানা বিষয়েই কাঁদুনি গাইতে শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলছেন, ‘এমন একটা জায়গায় ম্য়াচ খেলতে যাব, যেটা শহর থেকে ২ ঘণ্টা দূরে। প্রস্তুতির জন্য়ও এত দূরে যেতে হবে। এগুলো সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়।’

কী করলে ভালো হত? স্টিফেন আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা যদি পুরো মরসুম ধরেই হত। একদম নকআউট ফরম্যাট। একটা ম্য়াচ হারলেই বিদায়। এটা তো টুর্নামেন্ট নয়, কাপ। এটায় নকআউট হওয়াই শ্রেয় ছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই খেলতে হবে তিনটি ম্যাচ। অথচ ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মাত্র ১১টি দল। তার চেয়ে ১২টি দলকে নেওয়া হত সুপার কাপে। হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হত। টপ সিক্স ও বটম সিক্স। এএফসির সবরকম নিয়ম নেমে একটা টুর্নামেন্ট খেলানো যেত। হারলেই বিদায়। দুর্দান্ত একটা প্রতিযোগিতা হত।’ আইজল এফসির কোচও বললেন, ‘আই লিগ কিংবা আইএসএলের পর দু-তিন সপ্তাহের বিরতি ছিল। প্রত্যেকটা প্লেয়ারের কাছে এতদিন পর মাঠে নামা সমস্য়ার। মরসুম শেষে সুপার কাপ হওয়া…। বেশির ভাগ দলই শক্তিশালী স্কোয়াড নামাতে পারবে না। যা টুর্নামেন্টের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়।’

সুপার কাপ নিয়ে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে একটাই পজিটিভ দিক এই টুর্নামেন্টে এএফসি স্লট রয়েছে। এ ছাড়া কোনও গুরুত্ব নেই।’