CWC Retro Story: লয়েডের সেঞ্চুরি, ভিভ রিচার্ডসের তিনটে রানআউট; ফিরে দেখা সেই ফাইনাল
Greatest World Cup matches: প্রথম সব কিছুই স্মরণীয় হয়ে থাকে। বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও অন্যথা নয়। ১৯৭৫ সালে শুরু হয় পুরুষদের ক্রিকেটে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সেটা তখন পরিচিত ছিল প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ নামে। বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে দাপুটে টিম তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হতাশার বিষয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি তারা। যাই হোক, সোনালী সময়েই বরং ফেরা যাক।
কলকাতা: বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে, উন্মাদনা বাড়ছে। ভারতে ক্রিকেট শুধুই খেলা নয়। একটা আলাদা ধর্ম। যেখানে কোনও ভেদাভেদ নেই। শুধুই রয়েছে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস, কষ্টের কিংবা আনন্দের কান্না। আর বিশ্বকাপ মানেই ক্রিকেট উৎসব। দেশজুড়ে যেমন ক্রিকেট উৎসব, বাংলায় জোড়া উৎসব। ২০১১ সালের পর ফের ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে গত সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্বজয়। এক যুগ পর আবারও একটা বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন। তার জন্য অপেক্ষা আর কিছুদিনের। এর মধ্যে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ মনে করলে কেমন হয়? মনে করুন একটা ওয়েব সিরিজের নতুন সিজন দেখার আগে পুরনো এপিসোডগুলে একটু ঝালিয়ে নেওয়া! আজ তাহলে ফিরে দেখা যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি। কোনটা! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম সব কিছুই স্মরণীয় হয়ে থাকে। বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও অন্যথা নয়। ১৯৭৫ সালে শুরু হয় পুরুষদের ক্রিকেটে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সেটা তখন পরিচিত ছিল প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ নামে। বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে দাপুটে টিম তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হতাশার বিষয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি তারা। যাই হোক, সোনালী সময়েই বরং ফেরা যাক।
প্রথম বিশ্বকাপ, প্রথম ফাইনাল। আইকনিক লর্ডস ক্রিকেড গ্রাউন্ডে মুখোমুখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেতৃত্বে ক্লাইভ লয়েড। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন ইয়ান চ্যাপেল। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। ৬০ ওভারের ম্যাচ। মাত্র ৫০ রানেই তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই মুহূর্তে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট হিসেবে গর্ডন গ্রিনিজ আউট হতেই বাইশগজে প্রবেশ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের। উল্টোদিকে রোহন কানহাই। অজি বোলাররা তখন স্বপ্ন দেখছেন, আর সাতটা উইকেটের। কিন্তু…।
চতুর্থ উইকেটে জাঁকিয়ে বসেন ক্লাইভ লয়েড এবং রোহন কানহাই। অধিনায়ক লয়েডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, রোহনের অর্ধশতরান। চতুর্থ উইকেটে ১৪৯ রানের জুটি। কানহাই ১০৫ বলে ৫৫ রান করেন। আর লয়েড! ৮৫ বলে ১০২ রান। মাত্র ৫ রানেই ফেরেন বিধ্বংসী ব্যাটার ভিভ রিচার্ডস। শেষ অবধি নির্ধারিত ৬০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯১ রান।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ২৯২ রান। তাদের ব্যাটিং লাইনআপও শক্তিশালী। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডিং। বা আরও পরিষ্কার করে বলা ভালো ভিভ রিচার্ডসের ফিল্ডিয়। দলীয় ২৫ রানে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর শুধুই উইকেটের অপেক্ষা। মজবুত জুটি গড়ার চেষ্টায় অ্যালান টার্নার ও অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। অ্যালান টার্নারকে রান আউট করে জুটি ভাঙেন ভিভ রিচার্ডস। এরপর ক্রিজে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাপেল ব্রাদার জুটি। কিন্তু এই জুটিকেও স্বস্তি দেননি ফিল্ডার ভিভ। ব্যাটিংয়ে রান না পাওয়ায় যেন আরও বেশি তেতেছিলেন। গ্রেগ চ্যাপেলকে রান আউট করে দাদা-ভাই জুটি ভাঙেন ভিভ। দলীয় ১৬২ রানে অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলকে রান আউটে ফেরান ক্লাইভ লয়েড-ভিভ রিচার্ডস জুটি।
এরপরও জয়ের লক্ষ্যে অবিচল ছিল অস্ট্রেলিয়া। হাড়হিম করা দুই অজি পেসার জেফ থমসন, ডেনিস লিলি মরিয়া চেষ্টা চালান। ৮ বল বাকি এবং জয় থেকে ১৭ রান দূরে অস্ট্রেলিয়া অলআউট। শেষ উইকেট হিসেবে রান আউট জেফ থমসন। উদ্বোধনী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লর্ডসে ট্রফি ওঠে ক্লাইভ লয়েডের হাতে।