ICC World Cup 2023: রোহিতদের ম্যাচের টিকিট নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক, অস্বচ্ছতার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সিএবি
Eden Gardens: সিএবির যাঁরা সদস্য রয়েছেন, তাঁদের একাধিক প্রশ্ন ও অভিযোগ রয়েছে। টিকিট বন্টনে কেন স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না সিএবি? মেম্বারদের টিকিট গেল কোথায়? সিএবির ১৭ হাজার সদস্য। তার মধ্যে ১১ হাজার সদস্য সক্রিয়। এ দিকে, ম্যাচ প্রতি টিকিট দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৩ হাজার! মেম্বাররা কেন টিকিট পাবেন না? প্রতি বছর মেম্বারশিপের জন্য সদস্যরা টাকা দেয় সিএবিকে। তা সত্ত্বেও টিকিট মিলছে না।
রবিবার ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) ম্যাচ। বিশ্বকাপের ওই ম্যাচ ঘিরে তুমুল উন্মাদনা। আর তার মধ্যেই সিএবির টিকিট বণ্টনের তীব্র বিতর্ক। ইডেনে (Eden Gardens) বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) ম্যাচের টিকিট বুকিং সংস্থার ভূমিকা উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। কি ভাবে মুহূর্তের মধ্যে অনলাইন পোর্টাল থেকে উধাও টিকিট? বিশ্বকাপে ইডেন পেয়েছে পাঁচটা ম্যাচ। ২টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। বাকি সেমিফাইনাল-সহ তিন ম্যাচ। ইডেনে বিশ্বকাপের যে দুটি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে তা নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। ওই ম্যাচে সিএবির সদস্যদের পর্যাপ্ত টিকিট দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে রয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। এরই মধ্যে বুধবার এক ক্রিকেট অনুরাগী বিশ্বকাপের টিকিট বুকিংয়ে অস্বচ্ছতা নিয়ে এফআইআর করেছেন। যা নিয়ে তলব সিএবিকে তলব করে ময়দান থানা। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় গোটা শহর জুড়ে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
সিএবির যাঁরা সদস্য রয়েছেন, তাঁদের একাধিক প্রশ্ন ও অভিযোগ রয়েছে। টিকিট বন্টনে কেন স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না সিএবি? মেম্বারদের টিকিট গেল কোথায়? সিএবির ১৭ হাজার সদস্য। তার মধ্যে ১১ হাজার সদস্য সক্রিয়। এ দিকে, ম্যাচ প্রতি টিকিট দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৩ হাজার! মেম্বাররা কেন টিকিট পাবেন না? প্রতি বছর মেম্বারশিপের জন্য সদস্যরা টাকা দেয় সিএবিকে। তা সত্ত্বেও টিকিট মিলছে না। সিএবির কর্তাদের পাল্টা দাবি, বিসিসিআই তাদের পর্যাপ্ত টিকিট দেয়নি। তাই সিএবি সদস্যদের টিকিট দিতে পারছে না রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা।
সিএবির প্রাক্তন যুগ্মসচিব বিশ্বরূপ দে ক্রীড়া দফতর ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তাঁর মতে, কত টিকিট কোথায় দেওয়া হচ্ছে সেই হিসেব কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। সিএবি টিকিট নিয়ে কী করছে? বিশ্বরূপের কথায়, ‘রবিবার ইডেনে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। দীর্ঘদিন সিএবির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম। এই সময় কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না।। কিন্তু একা সিএবিকে দোষ দিয়ে কিছু হবে না। যে এজেন্সি সিএবির হয়ে কাজ করছে তাদের ভূমিকা কী? আইপিএলেও হাইভোল্টেজ ম্যাচে একই জিনিস বার বার হয়। পরে আবার সব ধামাচাপা পড়ে যায়। পুলিশ কী করছে? পুলিশের কী ভূমিকা? পুলিশ টিকিট পেলেই খুশি। বিসিসিআইয়ের ভূমিকা কী? বোর্ডেরও ভাবা উচিত ছিল, কলকাতায় এই প্রথম বিশ্বকাপ হচ্ছে না। সদস্যদের বঞ্চিত করার দায় কে নেবে?’
এখানেই থামেননি বিশ্বরূপ। একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘প্রতি টিকিটে ক্রীড়া দপ্তরের স্ট্যাম্প থাকে। তারপরও টিকিট বন্টনে অস্বচ্ছতা কেন? শুধু সিএবিকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। জগমোহন ডালমিার পর দীর্ঘদিন সিএবি চালিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার সময়ে এমন হয়নি। টিকিট বন্টনে একটা স্বচ্ছতা থাকা উচিত। ইডেনে বহু ফাইনাল হয়েছে। অনেক বড় টুর্নামেন্ট হয়েছে। এর আগেও ইডেনে বিশ্বকাপের ম্যাচ হয়েছে। ওই সময় কিন্তু সদস্যরা বঞ্চিত হননি।’
এই প্রসঙ্গে সিএবি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘২২ হাজারের বেশি টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। আমরা ৫০ শতাংশের কম টিকিট পেয়েছি। অর্থাৎ ৩২,৫০০-র কম টিকিট পেয়েছে সিএবি।’ হিসেবে ৫৫ হাজার টিকিটের খোঁজ মিলছে। বাকি ১০ হাজার টিকিট গেল কোথায়? সেই টিকিট কি বোর্ড নিজেদের দখলেই রেখে দিয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
রইল ইডেনে বিশ্বকাপ টিকিট খতিয়ান (সূত্র মারফত)
- ইডেনের দর্শকাসন ৬৫ হাজার।
- ৩০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি – ১৯,৫০০ টিকিট বিক্রি।
- বাকি ৪৫,৫০০ টিকিট সিএবির।
- প্রথম ডিভিশন ক্লাবকে ২১০টা করে টিকিট দেয় সিএবি (২১০*৩৭=৭৭৭০)
- দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাবকে ১১০টা করে টিকিট (১১০*৫৭= ৬২৭০)
- অনুমোদিত সংস্থাকে ৬০ টা করে টিকিট (৬০*২৭= ১৬২০)
- প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ৫টা করে টিকিট আর ১০টা টিকিট কিনতে পারবে প্রাক্তনরা (১৫*৩৩= ৪৯৫)
- সদস্যদের জন্য বরাদ্দ ৩০০০ টিকিট।
- বাকি থাকল ২৬,৩৪৫ টিকিট।
- বর্তমান ক্রিকেটারদের জন্য টিকিট বরাদ্দ থাকে।
- বাকি টিকিট বণ্টন করা হয় বিধায়ক, মন্ত্রী, পুলিশ, ফায়ার, আর্মি, ক্রীড়া দফতর এবং আরও অনেককে।
- মোট ১৮টি ক্যাটেগরিতে টিকিট বণ্টন করা হয়।