Rohit Sharma: লয়েড, পন্টিংয়ের জুতোয় পা গলাবেন রোহিত?

ICC World Cup 2023, Clive Lloyd-Ricky Ponting: ২০০৭ বিশ্বকাপেও পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া ছিল অপ্রতিরোধ্য। সে বারও একটি ম্যাচও না হেরে জিতেছিল বিশ্বকাপ। একেবারে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেজাজে। লয়েডের মতোই দুই বিশ্বকাপে অপরাজেয় থেকে বিশ্বজয়ী হওয়ার কৃতিত্ব পন্টিংয়েরও। তবে অপরাজেয় থেকে বিশ্বজয়ী হওয়ার নিরিখে কি এ বার লয়েড, পন্টিংয়ের জুতোয় পা গলাতে চলেছেন রোহিত শর্মাও?

Rohit Sharma: লয়েড, পন্টিংয়ের জুতোয় পা গলাবেন রোহিত?
Image Credit source: TV9 Bangla Graphics
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2023 | 12:05 AM

কলকাতা: অপরাজেয় বিশ্বজয়ী। এই খেতাব বড় গর্বের। বড় অহঙ্কারের। সেই অহঙ্কারের তাজ কি এ বার বসবে রোহিত শর্মার মাথায়? দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মাঝপথেই সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেল ক্রিকেটমহলে। অপ্রতিরোধ্য দৌড়। অশ্বমেধের ঘোড়া। যাই বলুন না কেন, সেই উপমাগুলো এ বার রোহিতের নামের আগে জুড়তে পারে। জুড়তেই পারে। এমন বিশ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। ক্লাইভ লয়েড, রিকি পন্টিংয়ের জুতোয় রোহিতের পা গলানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই মনে করছে, রবিবার নিশিতে ইডেন থেকে বাড়িমুখো হওয়া ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দলকে ২৪৩ রানে হারানোর পর, এই ভাবনা যে একেবারেই আকাশ কুসুম নয়। বরং ক্রমশ বাস্তব হচ্ছে। বাস্তব হচ্ছে ১২ বছর পর ফের বিশ্বসেরা হওয়ার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। প্রথম বিশ্বকাপ। একটা ম্যাচও না হেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্লাইভ লয়েডের সেই বিধ্বংসী দল। ১৯৭৯ সালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার অপরাজেয়। আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ১৯৮৩ সালে থামে সেই অশ্বমেধের ঘোড়া। ২০০৩ সালে আবার পেল সেই অশ্বমেধের ঘোড়াকে। এ বার সেই ঘোড়ায় সওয়ারির নাম রিকি পন্টিং। ২০০৩ বিশ্বকাপে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াও অপরাজেয় থেকে জিতেছিল বিশ্বকাপ। ১৯৯৯ সালে স্টিভ ওয়ার অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল বিশ্বকাপ। তবে অপ্রতিরোধ্য ছিল না। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের কাছে সে বার হার হয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার।

২০০৭ বিশ্বকাপেও পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া ছিল অপ্রতিরোধ্য। সে বারও একটি ম্যাচও না হেরে জিতেছিল বিশ্বকাপ। একেবারে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেজাজে। লয়েডের মতোই দুই বিশ্বকাপে অপরাজেয় থেকে বিশ্বজয়ী হওয়ার কৃতিত্ব পন্টিংয়েরও। তবে অপরাজেয় থেকে বিশ্বজয়ী হওয়ার নিরিখে কি এ বার লয়েড, পন্টিংয়ের জুতোয় পা গলাতে চলেছেন রোহিত শর্মাও? রবিবারের ইডেনে সেই প্রশ্ন নেই, বরং বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। রোহিতের ভারতই পারে, অপরাজেয় থেকে বিশ্বজয়ী হওয়ার। মিলও খুঁজে পেয়েছে রবিবারের ইডেন।

রোহিতের ভারতের পারফরম্যান্স একেবারে লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার মত। যেই দলে কেউ অপরিহার্য নয়। আজ সামি, তো কাল সিরাজ। পরশু বিরাট তো তার পরের দিন জাডেজা। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। পারফর্মারদের ছড়াছড়ি। কী ব্যাটিং, কী বোলিং! তাই তো সামি-জাডেজাদের বিরুদ্ধে চলতি বিশ্বকাপে কোনও প্রতিপক্ষ ৩০০ রান করার সাহসটুকু পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। আর বিরাট-শুভমনদের বিরুদ্ধে কোনও বোলিং অ্যাটাকের দুঃসাহস নেই, দুশো রানের গন্ডিতে আটকে দেওয়ার। ছুটছে নীল জার্সি। আসমুদ্রহিমাচল মাসখানেক আগেও জোরের সঙ্গে বলতে পারেনি, এ বার বিশ্বকাপ উঠবে রোহিত শর্মার হাতে। আর মাসখানেক পরে তাঁরাই বলছেন, রোহিতদের আটকাবে, কার সাধ্যি!

(বিঃদ্রঃ- ১৯৯৬ বিশ্বকাপেও একটি ম্যাচ না হেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সেই বিশ্বকাপে ২টি ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়েছিল অর্জুন রণতুঙ্গার দল। সেই দুই প্রতিপক্ষের নাম ছিল অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ)