IND vs AUS: তারুণ্য, আগ্রাসন আর পাল্টা লড়াই, গাব্বায় নামার আগে হুঙ্কার গিলের
India Tour of Australia, BGT: পন্থ-যশস্বীদের আগ্রাসন, প্রতিপক্ষকে পাত্তা না দেওয়া, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন পাল্টা আক্রমণের পথে যাওয়া, ব্রিসবেনে এই মন্ত্র নিয়েই নামবেন ভারতের তরুণরা। অস্ট্রেলিয়াও জানে শুভমনদের থামাতে না পারলে সিরিজের স্কোরলাইন আবার পাল্টে যাবে।
কলকাতা: পারথের জয় মাথায় থাকছে। অ্যাডিলেডের বিপর্যয় নয়। দিনরাতের টেস্টে হার। ভারতীয় টিমের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। দাবি উঠেছে, রোহিত শর্মা বিদায়ের। ক্যাপ্টেন হিসেবে টানা চার টেস্টে হার। ব্রিসবেন রোহিতের কাছে বড় পরীক্ষা। পরিস্থিতি যখন এই, গাব্বায় ভারত প্রবলভাবে ফেরার স্বপ্ন দেখছে। এর আগের সফরে ব্রিসবেনে ম্যাচ ও সিরিজ জিতেছিল ভারত। সেই ম্যাচের নায়ক ছিলেন দুইজন। ৯১ করা শুভমন গিল এবং ৮৯ নট আউট থাকা ঋষভ পন্থ। সে ছিল এক জানুয়ারি মাস। তথ্য বলছে, ক্রিসমাসের আগে ও পরে গাব্বার চরিত্র দু’রকম। সে বার নাকি সহজ ছিল লড়াই। এ বার হবে না। বড়দিনের আগে গাব্বা বাউন্স আর গতি নিয়ে অপেক্ষা করছে রোহিতের টিমের। তরুণ ভারত কী ভাবছে?
যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ, ভারতের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু এতকিছুর হিসেব রাখে না। গতি থাকলে আছে। বাউন্স আছে তো কী হয়েছে। আসলে তরুণ ভারত ভয়ডরহীন ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরে এগোচ্ছে। গাব্বায় নামার ২৪ ঘণ্টা আগে শুভমন গিল সেই বার্তাই দিয়ে রাখলেন। পঞ্জাবি তরুণের সোজাসাপ্টা বক্তব্য, বোলার কে, ভাবেনই না তাঁরা। তাঁদের ভাবনায় শুধু ঘোরে, বলটা পড়ছে কোথায়। আর কী শট নেওয়া যায়।
প্রেস মিটে শুভমন বললেন, ‘আমাদের প্রজন্ম এটা ভাবে না যে, বোলার কে। আমাদের প্রজন্ম শুধু এটা ভাবে যে, বলটা কোথায় পড়ছে। আর কী শট নেব। হার সব সময় একটা চাপ তৈরি করে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, এই মাঠে আমরা শেষ বার জিতেছি।’ গিলের কথাতেই পরিষ্কার অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেডে জিতে যতই হুঙ্কার দিক না কেন, গাব্বায় অন্য খেলা হবে। গোলাপি বল আর লাল বলের ফারাক অনেকখানি। ভারত সেভাবে দিন-রাতের টেস্ট খেলে না। তাই গোলাপি বলে ততটা সাবলীল নন। কিন্তু লাল বলের খেলায় অন্য ভারত অপেক্ষা করে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
এই খবরটিও পড়ুন
গিল যেমন বলেই দিচ্ছেন, ‘গোলাপি বলে ক্রিকেট একেবারে অন্যরকম। বল অতিরিক্ত শক্ত। তাতে সমস্যাও বেশি হয়। এতে বল বেশি সিমও করে। আর রাতের ক্রিকেটে গোলাপি বলের কার্যকারিতা বেশি।’ সেটা যে লাল বলের ক্ষেত্রে হবে না, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন শুভমন। তাঁর কথায়, ‘গাব্বায় আসল চ্যালেঞ্জ হল মানসিক কাঠিন্য। এটা যাঁর মধ্যে যত বেশি, ফিটনেস যত বেশি, তত লড়াই করার প্রবণতা বেশি থাকবে। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগে পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৫ ওভারের মতো হাতে থাকবে রান তোলার জন্য।’
পন্থ-যশস্বীদের আগ্রাসন, প্রতিপক্ষকে পাত্তা না দেওয়া, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন পাল্টা আক্রমণের পথে যাওয়া, ব্রিসবেনে এই মন্ত্র নিয়েই নামবেন ভারতের তরুণরা। অস্ট্রেলিয়াও জানে শুভমনদের থামাতে না পারলে সিরিজের স্কোরলাইন আবার পাল্টে যাবে।