AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kieth Bradshaw :প্রয়াত দিন-রাতের টেস্টের রূপকার কিথ ব্র্যাডশ

ক্রিকেটের প্রতি বরাবর অনুরাগী ছিলেন ব্র্যাডশ (Kieth Bradshaw)। সব সময় সামনের দিকে তাকিয়ে কিছু করার চেষ্টা করতেন। সেই নেশা থেকেই এক সময় টেস্ট ক্রিকেটকে পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন। যাতে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরা যায় ক্রিকেট ঐতিহ্যকে।

Kieth Bradshaw :প্রয়াত দিন-রাতের টেস্টের রূপকার কিথ ব্র্যাডশ
প্রয়াত নতুন ক্রিকেটের রূপকার। সৌ: টুইটার
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2021 | 3:14 PM
Share

লন্ডন: টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্যণীয় করতে দিন-রাতের ম্যাচ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গোলাপি বলও (pink ball) নিয়ে আসার প্রস্তাব ছিল তাঁর। টেস্ট ক্রিকেটে প্রাণ ফেরাতে এমন একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছিলেন যিনি, সেই কিথ ব্র্যাডশ (Kieth Bradshaw) মারা গেলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮। বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সোমবার থেমে গেল তাঁর যাবতীয় লড়াই।

ক্রিকেট বিশ্বে ব্র্যাডশ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁর উদ্ভাবনী পরিকল্পনার জন্য। প্রথম জীবনে তাসমেনিয়ার হয়ে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। পরে ইংল্যান্ড (England) চলে যান। ২০০৬ সালে প্রথম ইংলিশ নন এমন কেউ মেরেলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের চিফ এক্সিকিউটিভ হন। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সিই হয়েছিলেন।

ব্র্যাডশকে মানুষ মনে রাখবে টেস্ট ক্রিকেটকে পাল্টে দেওয়ার জন্য। ২০১৫ সালে তাঁর ভাবনা থেকেই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড প্রথম দিন-রাতের টেস্ট (day night test) খেলতে নামে। গোলাপি বলের টেস্টের প্রতি নতুন করে আগ্রহী করে তুলেছিল ক্রিকেট প্রেমীদের। এক বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ‘দিন-রাতের টেস্ট, গোলাপি বল— ক্রিকেটের জন্য ব্র্যাডশ যা করেছেন, তা চিরকাল মনে রাখবে খেলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজন।’

ক্রিকেটের প্রতি বরাবর অনুরাগী ছিলেন ব্র্যাডশ। সব সময় সামনের দিকে তাকিয়ে কিছু করার চেষ্টা করতেন। সেই নেশা থেকেই এক সময় টেস্ট ক্রিকেটকে পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন। যাতে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরা যায় ক্রিকেট ঐতিহ্যকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রিউডেন্সটিয়েন বলেছেন, ‘ব্র্যাডশ কী ভাবে ক্রিকেটটাকে পাল্টে দিয়েছে, সেটা আজ বোঝা যাবে না। খেলার ভবিষ্যৎ ওর কাছে ঋণী থাকবে। ক্রিকেট ধারা বজায় রেখেও প্রশাসক হিসেবে ও যা করে গিয়েছে, এক কথায় অনবদ্য।’

আরও পড়ুন : Paksitan vs Australia:২৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে অস্ট্রেলিয়া