Mitchell Starc: আইপিএলে কেন খেলেন না? WTC ফাইনালের আগে খোলসা করলেন স্টার্ক
IND vs AUS, WTC Final 2023: জাতীয় দলের হয়ে স্টার্কের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য বারবার প্রশ্ন উঠেছে। সংবাদমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে পারেন না, স্টার্ককে নিয়ে এমনটাই মনে করা হয়।
লন্ডন: অজি ক্রিকেটাররাই শুধু নন, ক্রিকেট বিশ্বের কয়েকশো ক্রিকেটার মুখিয়ে থাকেন আইপিএলের জন্য। সকলেই সুযোগ পান, তা নয়। অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করলেও নিলামে দল পান না। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারও রয়েছেন যাঁরা আইপিএল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। স্টিভ স্মিথ ২০২১-র পর আইপিএলে রেজিস্ট্রেশনই করেন না। এ বার খেলেননি প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক শেষ বার আইপিএল খেলেছিলেন ২০১৫ সালে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেছিলেন স্টার্ক। তারপর থেকে আর আইপিএলে দেখা যায় না। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন স্টার্ক। কী বলছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা পেসার? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়ার ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ী এবং ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মিচেল স্টার্ক জানান, আইপিএলে খেলে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়। তবে তাঁর কাছে দেশের হয়ে একশো টেস্ট খেলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের মেয়াদ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত! স্টার্ক বলছেন, ‘কিছুক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। দেশের হয়ে দীর্ঘ সময় খেলতে চাই। টাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের হয়ে একশো টেস্ট খেলাই আমার লক্ষ্য। সেটা পারব কিনা জানি না। আমি সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব।’
কেরিয়ারে এখনও অবধি ৭৭টি টেস্ট খেলেছেন স্টার্ক। ৩৩ বছরের এই বাঁ হাতি পেসারের ঝুলিতে রয়েছে ৩০৬টি উইকেট। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ১১০টি ওডিআই এবং ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। উইকেট সংখ্যা যথাক্রমে ২১৯ ও ৭৩। স্টার্ক আরও বলছেন, ‘দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলা। অনেক সময়ই চোট সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। তারপরও এতটা পথ পেরোতে পেরে ভালো লাগছে।’
জাতীয় দলের হয়ে স্টার্কের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য বারবার প্রশ্ন উঠেছে। সংবাদমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে পারেন না, স্টার্ককে নিয়ে এমনটাই মনে করা হয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অবশ্য অজি পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র স্টার্কই।