MS Dhoni Records: সাত নম্বর জার্সির ৭টি রেকর্ড, যা অক্ষত…
Happy Birthday MS Dhoni: ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন।
জন্মদিনে মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক, যিনি আইসিসির তিনটি ট্রফিই জিতেছেন। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক সাত নম্বর জার্সির ৭টি এমন রেকর্ড, যা এখনও অক্ষত রয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইসিসি-র তিনটিই ট্রফি জয়ী অধিনায়ক- সালটা ২০০৭। উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতীয় বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় তারুণ্যে ভরসা রেখে দল পাঠানো হবে বিশ্বকাপে। সে বছর ওডিআই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। সিনিয়ররাও বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। ধোনির নেতৃত্বে তরুণ দল পাঠানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার ওডিআই-তে বিশ্বসেরা। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস মাহির। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে ভারত। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ধোনির ভারত।
রান তাড়ায় অপরাজিত- মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্বের সেরা ফিনিশার বলা হয়। পরিসংখ্যানও তাই বলছে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে রান তাড়ায় দলের জয়, ধোনি এমন ৪৭ ম্যাচে অপরাজিত থেকেছেন। তাঁর কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডস। সাকসেসফুল রান তাড়ায় ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত জন্টি রোডস। ধোনি শেষ দিকে ক্রিজে থাকা সত্ত্বেও ভারত হেরেছে, এমন হয়েছে মাত্র দু-বার। ২০১৩ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে।
ছ’নম্বরে সর্বাধিক রান- ব্যাটিং অর্ডারে ৬ নম্বরে নেমে প্রায় ৪০৩১ রান মহেন্দ্র সিং ধোনির। মিডল অর্ডারে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মাহি। টপ অর্ডারে বিপর্যয় হলে তা সামলানোর জন্য থাকতেন ধোনি। লোয়ার ও মিডল অর্ডারের সঙ্গে অনবদ্য জুটিতে দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিতেন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিকে হোয়াইট ওয়াশ- ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে ধোনিই একমাত্র যিনি, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজিদের হোয়াইট ওয়াশ করেছেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধোনির নেতৃত্বে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ জেতে ভারত। টানা হাফসেঞ্চুরিতে মাহিকে ভরসা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
কিপারদের মধ্যে ওডিআইতে ম্যাচে সর্বাধিক স্কোর- সালটা ২০০৫। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে নামানোর পরই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সে বছরই ওডিআই ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৪৫ বলে ১৮৩ রান করেন। ১৫টি বাউন্ডারি এবং ১০টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন। ওডিআইতে কিপারদের মধ্যে এটিই সর্বাধিক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিং- ধোনির কিপিং এবং বিদ্যুৎগতির স্টাম্পিং, ক্রিকেটে বহুচর্চিত বিষয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিংয়ের নজির তাঁর দখলেই। টেস্ট ক্রিকেটে ৩৮, ওডিআইতে ১২০ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩৪টি স্টাম্পিং।
ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছয়- অধিনায়ক হিসেবে ওডিআই ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার নজির রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। এর মধ্যে তাঁর ট্রেডমার্ক হেলিকপ্টার শটে বহু ছয় রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে ওডিআইতে ২০৪টি ছয় মেরেছেন মাহি।