আবার করোনার থাবা, বাতিল ম্যাচ, অনিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজ
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দল যে হোটেলে আছে, তার দুজন কর্মী করোনা আক্রান্ত। ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রবিবারের ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) একাধিক ক্রিকেটারের পর হোটেল কর্মী। করোনার (covid) থাবায় বাতিল হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড (South Africa vs England) প্রথম একদিনের ম্যাচ। প্রশ্ন উঠে গেল সিরিজের (odi series) ভবিষ্য়ত নিয়েও। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তা পিছিয়ে রবিবার করা হয়। এবার ইংল্যান্ডের (England) দুই ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। পাশাপাশি দুই দল যে হোটেলে আছে, তার দুজন কর্মী করোনা আক্রান্ত। ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেথে তাই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
আনলক পর্বের শুরু থেকেই সব দেশেই শুরু হয়েছে খেলা। ফুটবল, ক্রিকেটের বড় আসরও বসতে শুরু করেছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরু থেকেই তাল কাটছে। টি-২০ সিরিজ শুরুর আগেই একাধিক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটারের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
Cricket South Africa (CSA) and the England and Wales Cricket Board (ECB) have agreed to cancel today’s Betway One-Day International series opening match, which was due to take place in Paarl. #Proteas #SAvENG #BetwayODI #SeeUsOnThePitch pic.twitter.com/lGvo7NDgZo
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) December 6, 2020
একদিনের সিরিজ শুরুর আগেও একই চিত্র। এবার ক্রিকেটারের পাশাপাশি হোটেল কর্মীও করোনার কবলে। প্রশ্ন উঠছে বায়ো বাবলের নিয়ম কি তাহলে সঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে না? হোটেল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, যে দুই কর্মী করোনা আক্রান্ত তারা বয়ো বাবলের নিয়ম ভাঙেনি। এমনকি তারা এক সঙ্গে কাজও করে না। গোটা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে হোটেল কৃতপক্ষ।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ। বায়ো সিকিয়োর বাবল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা। যদিও বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে একে অপরের ওপর দোষ না দিয়ে এক সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে দুই দেশের বোর্ড।
ECB and CSA have agreed to cancel the 1st ODI due to take place in Paarl today.
More: https://t.co/eobolTt28s #SAvENG pic.twitter.com/KOZaw5xeh0
— England Cricket (@englandcricket) December 6, 2020
সোমবার ও বুধবার সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা। কিন্তু আরও একপ্রস্ত করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে নামতে চাইছেন না ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মেপে পা ফেলতে চায় দুই বোর্ড। তাই প্রয়োজনে সিরিজ বাতিলও করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: টেস্ট সিরিজে নামার আগে শতরান রাহানের ব্যাটে
সিরিজ বাতিল হলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে। আগামী কয়েক মাসে, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসার কথা। সেই সফর গুলিতেও প্রভাব পরতে পারে। তাই ক্রমশ চাপ বাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের ওপর।