হার্দিকের ব্যাটে সিডনিতে বদলা ভারতের

সিডনিতে ১৯৪ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতল কোহলি ব্রিগেড। ম্যাচের সেরা হার্দিক পাণ্ডিয়া

হার্দিকের ব্যাটে সিডনিতে বদলা ভারতের
সিডনিতে টি-২০ সিরিজ জয় ভারতের। ছবি-টুইটার।
Follow Us:
| Updated on: Dec 06, 2020 | 6:09 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল:

অস্ট্রেলিয়া ১৯৪-৫ (২০ ওভারে)

ভারত ১৯৫-৪ (১৯.৪ ওভারে)

(৬ উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ভারতের)

 ১২ বলে দরকার ২৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে আজকাল এটা কোনও রানই নয়। তবু চাপা টেনশন তো থাকবেই। কে জানত, ওখান থেকেই খেলাটা শুরু করবেন হার্দিক পান্ডিয়া।

ওয়ান ডে সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হয়তো রান পাননি, কিন্তু প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন। তাঁর ব্যাটেই সিডনির মাঠেই ওয়ান সিরিজ হারের বদলা নিল ভারত।

অ্যান্ড্রু টাইয়ের ওভার থেকে পর পর দুটো চার সহ ১১ রান তুললেন হার্দিক। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। ড্যানিয়েল স্যামসের প্রথম ও তৃতীয় বলে দুটো বিশাল ছয় মেরে জয় এনে দিলেন ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার ১৯৪-৫ তাড়া করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই ২-০ এগিয়ে সিরিজে। অস্ট্রেলিয়াকেই এখন তাড়া করছে হোয়াইটওয়াশের আতঙ্ক।

এই সফরের মূল আকর্ষণ টেস্ট সিরিজ। গত বার সিরিজ জিতে ফেরা বিরাটের টিমকে হারানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন টিম পেইনরা। ওয়ান ডে সিরিজ হারের পর মানসিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি জিতে আবার আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা টিম কেন, তা আরো একবার প্রমাণ হল। ম্যাচের পর বিরাট বলেওছেন, ‘বুমরা, সামিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তার পরও প্রত্যেকে নিজেদের কাজটা করে গিয়েছে। আসলে সাম্প্রতিক হিসেব দেখলে, এই টিমের প্রত্যেকে ১৪টা করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ওরা সবাই জানে, বিপক্ষকে থামাতে হলে কী করতে হবে।’

সিডনির পিচে যথেচ্চ রান থাকা সত্ত্বেও টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বিরাট। এমনিতে সাদা বলের ক্রিকেটে বিরাটের বদলে রোহিতকে ক্যাপ্টেন করা উচিত কিনা, তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে গবেষণা চলছে। এই ম্যাচ হারলে বিরাটের উপর চাপ বাড়ত। কারণ, সিডনির পিচে অজি টিমকে আটকাতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। টি নটরানজ (২-২০) ছাড়া আর কেউই সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। দীপক চাহার, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহল— সকলেই যথেচ্চ রান বিলিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই টেনেছিলেন ম্যাথু ওয়েড। ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ চোটের জন্য খেলতে পারেননি। তাঁর বদলে এই ম্যাচে ক্যাপ্টেন্সি করেন ওয়েড। ওপেন করতে নেমে ৩২ বলে ৫৮ করে যান। ছন্দে থাকা স্টিভ স্মিথও ৩৮ বলে ৪৬ করেন। বাকিরা বড় রান না পেলেও ১৯৪-৫-এ পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা বিপক্ষকে চাপে রাখার মতো রান।

আরও পড়ুন:  টেস্ট সিরিজে নামার আগে শতরান রাহানের ব্যাটে

রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরু থেকেই রানরেট ঠিক রেখে এগিয়েছিল। লোকেশ রাহুল ২২ বলে ৩০ করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার শিখর ধাওয়ান অবশ্য ৩৬ বলে ৫২ করেন। শিখর আউট হওয়ার পরই বিরাট রানের গতি বাড়ান। ২৪ বলে ৪০ করে স্যামসের বাইরের বল তাড়া করে ফিরে যান তিনি। বাকি কাজটা শেষ করেন হার্দিক আর শ্রেয়স। ৫ বলে ১২ করে নট আউট থাকা শ্রেয়সই প্রথম জাম্পাকে পর পর ৪ ও ৬ মেরে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দেন। সেখান থেকে হার্দিক-ঝড় শুরু।

হার্দিককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট। ভারতীয় ক্যাপ্টেন বলেছেন, ‘হার্দিক অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। যে কারণে ওকে ২০১৬ সালে টিমে নেওয়া হয়েছিল। এখন টিম সেই লাভটা পাচ্ছে। ও এখন একাই টিমকে জেতাতে শুরু করেছে।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর‌: অস্ট্রেলিয়া ১৯৪-৫ (ওয়েড ৫৮, স্মিথ ৪৬, অনরিকস ২৬, নটরাজন ২-২০, শার্দূল ১-৩৯)।

ভারত ১৯৫-৪ (শিখর ৫২, হার্দিক নট আউট ৪২, বিরাট ৪০, সোয়েপসন ১-২৫, জাম্পা ১-৩৬)।