Brett Lee: মায়াঙ্ক যাদবের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্রেট লি

IPL 2024, LSG: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রত্য়াবর্তন হয় মায়াঙ্ক যাদবের। ম্যাচের আগের দিনই বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল নিশ্চিত করেছিলেন, সবরকম ফিটনেস পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন মায়াঙ্ক। ২১ বছরের এই তরুণ পেসারের ফেরার ম্যাচে নজর ছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে স্পেলের তিন ওভার অবধি বলা যায় সব ঠিকই ছিল। শেষ ওভার বোলিংয়ে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট নেন মায়াঙ্ক যাদব। কিন্তু এরপরই অস্বস্তি।

Brett Lee: মায়াঙ্ক যাদবের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্রেট লি
Image Credit source: BCCI
Follow Us:
| Updated on: May 01, 2024 | 6:35 PM

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারের অন্য়তম আবিষ্কার মায়াঙ্ক যাদব। টুর্নামেন্টের দ্রুতগতির ডেলিভারি এসেছে তাঁর হাত থেকেই। অভিষেক আইপিএলেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অভিষেক ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৩ উইকেট নেন। টানা দু-ম্যাচে সেরার পুরস্কার জেতেন। এরপরই গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এক ওভার বোলিং করেই মাঠ ছেড়েছিলেন। অপেক্ষা ছিল তাঁর প্রত্যাবর্তনের।

দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন হয় মায়াঙ্ক যাদবের। ম্যাচের আগের দিনই বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল নিশ্চিত করেছিলেন, সবরকম ফিটনেস পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন মায়াঙ্ক। ২১ বছরের এই তরুণ পেসারের ফেরার ম্যাচে নজর ছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে স্পেলের তিন ওভার অবধি বলা যায় সব ঠিকই ছিল। শেষ ওভার বোলিংয়ে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট নেন মায়াঙ্ক যাদব। কিন্তু এরপরই অস্বস্তি। উইকেট নিয়েই ফের মাঠ ছাড়েন। আবারও চোট আশঙ্কাই ভাবা হচ্ছে। তাঁকে নিয়ে কি তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল?

লখনউ টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ক্ষুব্ধ প্রাক্তন অজি পেসার ব্রেট লি। ম্যাচ শেষে মায়াঙ্ক প্রসঙ্গে লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানান, চোটের জায়গাতেই সমস্যা হচ্ছে। ব্য়াটারদের ত্রাস প্রাক্তন পেসার ব্রেট লি বলেন, ‘সাইড স্ট্রেইন বা যাই বলা হোক, ঠিক হতে অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগে। আমরা জানি না, মায়াঙ্কের চোট কতটা গুরুতর ছিল। তবে এমন একজন পেসার, যে কিনা ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে নিয়মিত বোলিং করছে, তার ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট যে ঠিক হয়নি, এটুকু বোঝা যায়।’

চোট সারিয়ে যে ম্যাচে ফিরলেন, সেই ম্যাচেই আবারও একই জায়গায় চোট। লিডারশিপ, ম্যানেজমেন্ট এবং মেডিক্যাল স্টাফদের উপরই দায় চাপাচ্ছেন ব্রেট লি। এর থেকে আন্দাজ করা যায়, মায়াঙ্কের ইনজুরি ম্যানেজ ঠিকঠাক হয়নি। না হলে একই জায়গায় কী ভাবে ফের চোট! আর মায়াঙ্কের মতো চোট প্রবণ পেসারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়াই প্রয়োজন ছিল।